ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছেঁড়া তারে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে বাবাসহ দুই ছেলের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ২২ জুলাই ২০১৯

 ছেঁড়া তারে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে বাবাসহ দুই  ছেলের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক পরিবারের ৩ সদস্য মারা গেছেন। সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মাহানপাড়া এলাকায় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে বাবা ও দুই ছেলে মারা যান। এরা হলেন, শহিদুল ইসলাম (৬০), তার বড় ছেলে নাজিরুল ইসলাম (৩০) ও ছোট ছেলে আসাদুর রহমান (১৮)। তারা স্থানীয় একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। শনিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীরা জানায়, নাজিরুল রাতে বাড়ির অদূরে মাছ ধরতে যান। এ সময় পানির ওপর ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকা পানির মধ্যে পা বাড়ানো মাত্রই বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন নাজিরুল। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছোট ভাই আসাদুর ও বাবা শহিদুলও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা পল্লী বিদ্যুত অফিসে ফোন দিয়ে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ করে তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর রাতেই পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন ও পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে নিহতের পরিবারকে সান্ত¡না দেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দেন। জেলা প্রশাসন থেকে নিহত পরিবারকে তাৎক্ষণিক ৫০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দেয়া হয়। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য স্থানীয়রা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের গাফিলতিকে দায়ী করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। নেত্রকোনায় দাদি-নাতিসহ তিনজন নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, পৃথক স্থানে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দাদি-নাতিসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে কেন্দুয়ায় এবং শনিবার রাতে সদর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে। এরা হলেন: সদর উপজেলার বলনিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী শরিফা আক্তার (৫০) ও তার নাতি স্কুলছাত্র আরমান হোসেন (৮) এবং কেন্দুয়া উপজেলার পেরিরচর গ্রামের জাকারিয়া (৩৫)। জানা গেছে, সদরের বলনিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম শিয়ালের অত্যাচারে তার হাঁস-মুরগির খামারের চারপাশে বিদ্যুত সংযোগ সচল করে রেখেছিলেন। শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তার স্ত্রী শরিফা আক্তার ও তার নাতি আরমান হোসেন খামারে হাঁস-মুরগি ঠিকঠাক আছে কি-না তা দেখতে যান। এ সময় অসাবধানবশত দু’জনই বিদ্যুতস্পৃষ্ট হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে রবিবার সকাল ন’টার দিকে কেন্দুয়ার পেরিরচর গ্রামের মৎস্যজীবী জাকারিয়া তার বাড়ির সামনে পুকুরে মোটরের সাহায্যে পানি দিতে যান। এ সময় তিনি বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়েন।
×