ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিপ্লবী মেগান র‌্যাপিনো

প্রকাশিত: ০৯:২১, ২২ জুলাই ২০১৯

 বিপ্লবী মেগান র‌্যাপিনো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আবারও মেয়েদের বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে যুক্তরাষ্ট্র। ফ্রান্সের মাটিতে হল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আমেরিকা। গ্যালারিতে হর্ষোল্লাসের মধ্যেই হঠাৎ বেসুরো হয়ে উঠল মার্কিন সমর্থকদের একাংশ। আওয়াজ ওঠে সমবেতনের। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তখন হাজির ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। পুরুষদের মতোই সমবেতন দিতে হবে মহিলা দলকে, অনেকদিন থেকেই সোচ্চার মেগান র‌্যাপিনো ও তার সতীর্থরা। ‘সমান অর্থের দাবি আদায় করতেই হবে। সেই চেষ্টা শুরু হয়েছে। ফিফা পারবে না এই দাবিকে নস্যাৎ করতে।’ সরাসরি জানিয়ে দেন মেগান। জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকলেও বেতনে মেগানরা অনেক পিছিয়ে মার্কিন পুরুষ দলের থেকে। গত মার্চে আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মেগানরা। বিশ্বকাপের আগে এসব কেন? সমালোচনা করেছিলেন অনেকেই। কানে তোলেননি, মাথাও নোয়াননি। বরং সেই জেদই সাহায্য করেছে মেগানদের বিশ্বকাপ জিততে। থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে প্রতিবাদে জাতীয় সঙ্গীতের সময় গলা মেলাননি মেগান। পুলিশী অত্যাচার, জাতিবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ২০১৬ সালে সান ফ্রান্সিসকোয় সেই কাজই করেছিলেন কলিন কেপারনিক। জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ায় মেগানকে ব্যঙ্গ করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘এর মধ্যে প্রতিবাদ কোথায়?’ পাত্তা দেননি। উল্টে ফাইনালেও একই পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানান মেগান। কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাতকারে মেগান বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপ জিতলেও হোয়াইট হাউসে যাব না।’ একই কথা মেগান বলেন কোয়ার্টার ফাইনালের আগেও। প্রতিক্রিয়ায় কটাক্ষের সুরে ট্রাম্প টুইট করে লিখেছিলেন, ‘আগে তো জিতুন!’ এমনকি বিশ্বকাপ না জিতলেও দল হোয়াইট হাউসে যাওয়ার আমন্ত্রণ পাবে, জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। ছাড়ার পাত্রী নন মেগানও। বিশ্বকাপ জিতেও সাফ বলে দেন, ‘হোয়াইট হাউসে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। সতীর্থরাও কেউ ওখানে যাবে বলে মনে হয় না।’ মেগান অবশ্য এখানেই থামেননি। তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন দেশের প্রধানকে। তিনি বলেন, ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন।’ ট্রাম্পের এই স্লোগানকে বিঁধে মেগান জানিয়েছেন এই স্লোগান আমেরিকার কিছু লোকের জন্য। সকলের জন্য নয়। বরং প্রেসিডেন্টের কাজের জন্যই আমেরিকার মান-সম্মান থাকবে না।’ ট্রাম্পের উদ্দেশে দেয়া এক অনমনীয় বার্তায় মেগান বলেন, ‘আপনার বার্তায় আমাকে বাদ দিয়েছেন। আপনি আমাকে বাদ দিচ্ছেন, আপনি আমার মতো মানুষদের বাদ দিচ্ছেন, আপনি রঙিন মানুষদের বাদ দিচ্ছেন, আপনি সেইসব আমেরিকানদের বাদ দিচ্ছেন যারা আপনাকে সমর্থন করে।’
×