ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফের আফগানদের কাছে হার মিঠুনদের

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ২২ জুলাই ২০১৯

 ফের আফগানদের কাছে হার মিঠুনদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় দলের ভবিষ্যত হিসেবে ধরা হয় ‘এ’ দলকে। কিন্তু দেশের মাটিতে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের যে বেহাল অবস্থা তাতে করে জাতীয় দলের ভবিষ্যত ডুবে যাচ্ছে অমানিশায়। রবিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারী আফগানিস্তান ‘এ’ দল। শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের সিরিজে জাতীয় দলে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন, ফরহাদ রেজা, সাব্বির রহমান ও এনামুল হক বিজয় এদিনও খেলেছেন। মিঠুন ৮৫ ও সাব্বির ৩৫ রানের পাশাপাশি ১ উইকেট নিয়ে সফল হলেও বাকি দু’জন আবারও হয়েছেন ব্যর্থ। ফরহাদ-বিজয় দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর দুই পরীক্ষাতেই ফেল করলেন। তুলনামূলকভাবে অবশ্য প্রথম ওয়ানডের চেয়ে কিছুটা ভাল নৈপুণ্য দেখিয়েছে মিঠুনের নেতৃত্বে খেলা ‘এ’ দল। প্রথম ব্যাট করে এদিন ৯ উইকেটে ২৭৮ রান তুলেছিল তারা। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় সফরকারীরা ৪৯.১ ওভারে ইব্রাহিম জাদরানের ১২৭ রানের সুবাদে ৬ উইকেটে ২৮১ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয়। প্রথম ওয়ানডেতে লজ্জাজনক ১০ উইকেটের পরাজয়বরণ করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। মিঠুন, সাব্বির, ফরহাদ, বিজয়সহ চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন রুবেল হোসেন। আগে ব্যাট করে মাত্র ২০১ রান তুলতে পেরেছিল স্বাগতিকরা পুরো ৫০ ওভার ব্যাট চালিয়ে। এই ৫ ক্রিকেটারই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জাতীয় দলে আছেন। সে কারণে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মঞ্চ দিয়েছিল বিসিবি। প্রথম পরীক্ষায় সবাই ব্যর্থ হলেও রবিবার দ্বিতীয় পরীক্ষায় তাদের দিকেই নজর ছিল সবার। স্বাগতিক হয়েও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের এমন দুর্দশা দেখে সফরকারী আফগানিস্তান ‘এ’ দল রবিবারও টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিনও উদ্বোধনী জুটিতে ভাল জুটি হয়েছে। দলীয় সংগ্রহে ৫৬ রান যোগ করার পর ২৪ বলে ২৬ রান করা বিজয় সাজঘরে ফেরেন। আগের ম্যাচে ১৯ রান করেছিলেন এ ওপেনার। ইমরুল কায়েস-মিঠুনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিটাও ভালভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এদিনও ইমরুল তার ইনিংস বড় করতে পারেননি, ৫৫ বলে ৫ চারে ৪০ রান করে আউট হন। তবে তৃতীয় উইকেটে মিঠুন আর তরুণ মোহাম্মদ নাইম শেখ দারুণ ব্যাটিং করেছেন। তারা ৯৭ রানের জুটি গড়েন। নাইম ৫৭ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৪৯ রান করে সাজঘরে ফিরলে জুটি ভেঙ্গে যায়। মিঠুনও অর্ধশতক হাঁকিয়ে নাইমের একটু পরেই বিদায় নেন। তিনি ৯৪ বলে ৫ চার, ৪ ছক্কায় ৮৫ রান করেছিলেন। এরপর সাব্বির কিছুটা ভাল করলেও বাকিরা হয়েছেন ব্যর্থ। সাব্বির প্রথম ম্যাচে ১৫ রান করেছিলেন। এদিন কিছুটা ইতিবাচক মনোভাবে খেলে ৩৮ বলে ১ চার, ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ ‘এ’। আফগানিস্তান ‘এ’ দলের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন পেসার করিম জানাত ও ফজল নিয়াজাই। জবাব দিতে নেমে ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে আফগানিস্তান ‘এ’ দল। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ২১ ও উসমান গনি ২৬ রানে সাজঘরে ফেরেন। তবে আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান একাই স্বাগতিক বোলারদের নাজেহাল করেন। তিনি ১৪৯ বলে ৭ চার, ৭ ছক্কায় ১২৭ রান করে যখন সাজঘরে ফিরেছেন তখনও ২৩ বলে ৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্য ছিল আফগান ‘এ’ দলের জন্য। কিন্তু সেই কাজটি সহজ করে দেন শরাফউদ্দিন আশরাফ। তিনি ১৭ বলে ২ চার, ৩ ছক্কায় ৩৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন, দলকেও ৫ বল আগেই বিজয়ী করেন। ৬ উইকেটে ২৮১ রান তোলে তারা ৪৯.১ ওভারে।
×