ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম ডিএসসিসির

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২২ জুলাই ২০১৯

 ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম ডিএসসিসির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। মশা নিধনে ২১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচী পরবর্তী ১৫ দিনব্যাপী একটানা চলবে। এই সময়ে কিভাবে এডিস মশার বংশ ধ্বংস করতে হয় তার জন্য নাগরিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে সংস্থাটির লোকজন। একইসঙ্গে এই সময়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৫৭ ওয়ার্ডের ১ হাজার ৭১০ বাসায় গিয়ে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করা হবে। সেই হিসেবে এ ১৫ দিনে ২৫ হাজার বাসার এডিস মশার বংশ ধ্বংস করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। রবিবার রাজধানীর কাঁঠাল বাগান এলাকার পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিশেষ এ কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণসহ ডিএসসিসির উর্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মেয়র বলেন, বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে ডেঙ্গুমুক্ত শহর গড়তে নগরবাসীর সহায়তার পাশাপাশি সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, ৫৭ ওয়ার্ডের ২৫ হাজার বাসায় আমাদের পরিদর্শক টিম, পরিচ্ছন্নতা টিম ও স্বাস্থ্য টিমের প্রতিনিধিরা যাবেন। যে বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, আমাদের প্রতিনিধিরা গিয়ে তা ধ্বংস করে দিয়ে আসবেন। পাশাপাশি সম্মানিত নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসবেন, কিভাবে এডিস মশার বংশ ধ্বংস করতে হয়। এরপর মশক নিধন কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আশপাশের কয়েকটি বাসায় গিয়ে মেয়র এডিস মশার বংশ ধ্বংস করেন। মেয়র বলেন, এডিস মশা রাস্তা বা ডোবার নোংরা পানিতে জন্মে না। এ মশা বাসার বারান্দা বা ছাদের পরিত্যক্ত টায়ার, টব, ট্যাঙ্ক, এসি বা ফ্রিজের ট্রেতে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই এডিস মশা ধ্বংসে জনগণের সচেতনতা ও সতর্কতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মশার বিস্তার রোধ করতে হবে। এডিস মশার প্রাদুর্ভাব যাতে না হয় সেজন্য নিজে সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করুন। তবেই সবার প্রচেষ্টায় ডেঙ্গুমুক্ত শহর উপহার দিতে পারব। মেয়রের উপস্থিতিতে এক বাসার টবের পানিতে জন্মানো এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করছেন ডিএসসিসির কর্মীরা। সাঈদ খোকন আরও বলেন, এরই মধ্যে আমাদের ৬৮ ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৪৫০ স্থানে কাজ করে দুই হাজার ১৫৭ জন নাগরিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এরপরও কোথাও ডেঙ্গুর অস্তিত্ব পেলে ডিএসসিসির হটলাইনে- ০৯৬১১০০০৯৯৯ ফোন দিলে আমাদের লোক গিয়ে ধ্বংস করে দিয়ে আসবে।
×