ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁতে ভাঙ্গন

প্রকাশিত: ০০:১০, ২২ জুলাই ২০১৯

অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁতে ভাঙ্গন

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার শিবচরে পদ্মা নদী ও আড়িয়াল খাঁ নদে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আড়িয়াল খাঁর ভাঙ্গনে শিবচরের সন্ন্যাসীরচরে অন্তত ২০ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সংলগ্ন এলাকার উজানে চরমানাইর এলাকায় ভাঙ্গনের ব্যাপকতা ভয়ংকর। চরমানাইর চরবন্দরখোলা চন্দ্রখোলা ফাজিল মাদ্রাসার একটি ভবন আড়িয়াল খাঁয় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছেন অসংখ্য ঘর-বাড়ি মসজিদসহ বহু স্থাপনা। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সীমিত আকারে বালুর বস্তা ফেললেও তা কোনো কাজে আসছে না। অপরদিকে এখনো পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে উপজেলার বন্দরখোলা , কাঠালবাড়ি, চরজানাজাত ৩ ইউনিয়নে পদ্মা নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। ২৪ ঘন্টায় অস্তত ৫০ ঘর-বাড়িসহ গত এক সপ্তাহে দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি, মাদ্রাসা, কালভার্ট বিলীন হয়েছে নদীতে। ভাঙ্গনেরর মুখে পড়েছে ৮/১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন হাট-বাজারসহ ৩ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। ভাঙ্গন কবলিতরা বসত বাড়ি গবাদি পশু নিয়ে ট্রলারযোগে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন। পদ্মার তীরে দাঁড়িয়ে আছে পানিতে নিমজ্জিত বন্দরখোলা ইউনিয়নের সরমঙ্গল সরকারী প্রাথমিক ভবন। এ প্রতিষ্ঠানটি যে কোনো মূহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ভাঙ্গনের মুখে পড়ায় একটি স্কুল থেকে মালামাল সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে। চরাঞ্চলের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পদ্মার ভাঙ্গন রোধে কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। তবে রবিবার থেকে শিবচরের দূর্গত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘চরাঞ্চলের বন্দরখোলা, কাঁঠালবাড়ি, চরজানাজাত ইউনিয়ন বন্যা ও নদী ভাঙ্গন ব্যাপক। এসব এলাকার সহস্রাধিক বন্যা দূর্গত ও নদী ভাঙ্গন কবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করা হয়েছে। এ ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
×