ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ২৩ জুলাই ২০১৯

ঢাকার দিনরাত

একুশটি জেলার ১৪৪ উপজেলা বন্যাপ্লাবিত হওয়ার প্রভাব রাজধানীতে না পড়ার কারণ নেই। কেননা ঢাকার প্রায় দুই কোটি অধিবাসীর সিংহভাগই ঢাকার বাইরে থেকে আসা। ওই একুশ জেলার পানিবন্দী মানুষের বহুজনেরই নিকটাত্মীয় ঢাকায় বাস করেন। ফলে ঢাকা বন্যার আওতামুক্ত থাকলেও বন্যার কারণে যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও বিপন্নতা, তা থেকে ঢাকার মানুষ কিছুতেই মুক্ত থাকতে পারেন না। তবে বন্যার অজুহাত দেখিয়ে খাদ্য, বিশেষ করে সবজি ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এটি অন্যায়। রোববার জনকণ্ঠের প্রথম পাতায় শাক-সবজির সমাহারের একটি ছবি ছাপানো হয়েছে। নিচে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে- রাজধানীর আশপাশের অঞ্চলে সবজিতে বাজার সয়লাব। কিন্তু বন্যার অজুহাতে তরিতরকারির দাম আকাশচুম্বী হাঁকা হচ্ছে। ছবিটি রামপুরার বনশ্রী থেকে তোলা। ঢাকায় ঠগবাজ ও লোভীদের সংখ্যা কি বাড়ছে? যদি না বাড়ে তাহলে বন্যার কারণ দেখিয়ে তরকারির দাম এক লাফে দ্বিগুণ বা তারও বেশি করার আর কী কারণ থাকতে পারে। এছাড়া ঢাকার মানুষের সংবেদনশীলতাও বুঝি কিছুটা বিনষ্ট হয়ে গেছে। কয়েকটা দিন যাওয়ার পর দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অপরদিকে আবার মধ্যাঞ্চলে অবনতি ঘটেছে। কিন্তু ঢাকার মানুষ বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো কিংবা তাদের কাছে ত্রাণ পাঠানোর ব্যাপারে খুব একটা যে সক্রিয় হয়েছে তেমনটা মনে হচ্ছে না। বিষয়টি আমাদের ভাবায় বৈকি। আর সে দৃষ্টিকোণ থেকেই চলতি সপ্তাহে জনকণ্ঠের সমাজ ভাবনার বিষয় হয়েছে বন্যায় সমাজের দায়। পাঠককে লেখার আহ্বান জানাতে গিয়ে আমরা লিখেছি- আমরা যারা নিরাপদে আছি, তাদের কি কোন দায়িত্ব নেই পানিবন্দী মানুষের প্রতি? আগে দেশে বড় বড় বন্যা হলে এই রাজধানীর মানুষই তো জেগে উঠেছে। বন্যার্তদের কীভাবে সাহায্য করা যায় তা নিয়ে দিনরাত কত ভাবনা, কত কর্মসূচী। মানুষ যদি দুর্দিনে মানুষের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে আর সে মানুষ কেন! আসুন বন্যার্তদের জন্য কিছু করি। গুজব ও গণপিটুনি ঢাকার মানুষ বলে আলাদা কিছু কি আছে? তারা সারা দেশেরই মানুষ, দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা। এদের ভেতরে কি গুজবজনিত ভীতি কাজ করছে? তা না হলে কিভাবে তারা ছেলেধরা সন্দেহে একজন নারীর ওপর চড়াও হয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে! পদ্মা সেতু হচ্ছে দেশের টাকায়, বিশ্বব্যাংকের অন্যায্য অভিযোগকে নাকচ করে দিয়ে আত্মমর্যাদাবোধের দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নতি যাদের গায়ে জ্বালা ধরায় এটি তাদের কিভাবে সহ্য হবে? যমুনা সেতু নির্মাণের সময় তো এমন গুজব ছড়ানো হয়নি। হয়েছে কি? তবে খোলামনে বিশ্লেষণ করলে পারিপার্শ্বিকতাকেও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। যাদের বয়স হয়েছে এবং শেকড়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তারা জানেন এই দেশে কুসংস্কারে আস্থা রাখে বহু মানুষ। আস্থা না, বলে বলা যেতে পারে কুসংস্কারকে তারা উপেক্ষা করে যেতে পারে না। সাহিত্য ও চলচ্চিত্র- এ দুটি মাধ্যমে এসব কুসংস্কারের উপাদান তুলে ধরার দৃষ্টান্ত রয়েছে। গুজব নিয়ে বিবিসির রিপোর্ট পড়ছিলাম। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর পড়ান এমন অধ্যাপকের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এ দেশের লোকাচার সম্পর্কে তিনি ভালো অবগত বলেই তার মন্তব্য চাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করি। বাংলাদেশে সেতু নির্মাণ বা এ রকম বড় কোন স্থাপনা নির্মাণকাজে নরবলির গুজব নতুন নয়। অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী মনে করেন দেশের শাসনব্যবস্থার ঐতিহাসিক পটভূমি এবং গ্রামাঞ্চলের মানুষের চিন্তাধারা পর্যবেক্ষণ করলেই এর কারণ বোঝা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখবেন আমাদের এই অঞ্চল বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন রাজা, সম্রাটদের মতো বিভিন্ন ধাঁচের শাসকদের অধীনে ছিল। নানা কিংবদন্তিমূলক কাহিনী, আবহমানকাল ধরে চলে আসা জনশ্রুতি এবং স্থানীয় সংস্কৃতিতে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন গল্পের ওপর বিশ্বাস করার প্রবণতা মানুষের মধ্যে প্রবল।’ একটি নির্দিষ্ট ভূখন্ডের মানুষের বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রবণতাটিকেই সূক্ষ্মভাবে অপকর্মে লাগায় কিছু মানুষ। এক্ষেত্রে বিশেষ মহল হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা দরকারÑ এমন গুজব তাই অনেকে বিশ্বাসও করে। কম্পিউটার-স্মার্ট ফোনের যুগে, চাঁদে মানুষ যাওয়ার অর্ধশতক পূর্তিকালেও বাংলাদেশের বহু মানুষ যে কুসংস্কারের অন্ধকারে রয়েছে- বিষয়টি আমাদের কষ্ট দিলেও এটি বাস্তবতা। কিন্তু গুজবে কান দেয়া আর আতঙ্কিত হয়ে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে পিটিয়ে মানুষ খুন করা কি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ? নিরীহ মা মারা গেছেন একদল উন্মত্ত মানবরূপী পশুর হাতে। সমাজের এমন ক্ষত সারানোর উপায় বের করতে হবে সমাজতাত্ত্বিক ও চিন্তাবিদদের। অনেকেই স্মরণ করতে পারবেন যে, ২০১৫ সালের ১ মার্চ নদীতে পশুর রক্ত ঢেলে পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন কাজের উদ্বোধন করে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় মূল সেতুর পরীক্ষামূলক ভিত্তি স্থাপনের সময় নদীতে গরু ও খাসির রক্ত ঢালতে দেখা যায় চাইনিজ ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের। ভাসিয়ে দেয়া হয় কয়েকটি মুরগিও। তাদের বিশ্বাস, বড় কাজের শুরুতে পশু উৎসর্গের মাধ্যমে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়, এড়ানো যায় বড় দুর্ঘটনা। তখন গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সময়ের রক্তের ছবি এখন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে একটি মহল। অসাধু ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মূল তথ্য আড়াল করে পুরনো সেই ছবিকে মানুষের রক্তের ছবি বলে চালাতে থাকে। এর সাড়ে চার বছর পরেও যে গুজবের ডালপালা মেলবে- এটি অপ্রত্যাশিতই ছিল। তবে গুজব রটনাকারীরা সমাজে এক ধরনের সূক্ষ্ম অস্থিরতা যে তৈরি করতে পেরেছে তারই একটি উদাহরণ বোধকরি ঢাকার বাড্ডার একটি স্কুলে এক নারীর নিজ সন্তানকে ভর্তি করানোর জন্য তথ্য জানতে গিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহের কোপানলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা। এমন সন্দেহপ্রবণতা যে কত ভয়ঙ্কর সেটি একজন সচেতন নাগরিক (আলমগীর শাহরিয়ার) সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন তার ফেসবুক পোস্টে। তিনি লিখছেন, ‘আজ সকালের অভিজ্ঞতা বলি। রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা। হাঁটছি রাস্তা পার হব বলে। সামনে লুঙ্গি পরা, বাম হাতে লম্বা ইঞ্চিখানেক মোটা লোহার দণ্ড, মাথায় ময়লা গামছা বাঁধা লম্বা চুলের এক লোকের কাঁধ বরাবর পিঠে ঝুলানো বিশেষ ধরনের একটা চটের ব্যাগ। চেয়ে দেখি ব্যাগে কি যেন নড়ছে। নড়াচড়া দেখে ছোট শিশুর মতোই মনে হয়। বুকটা ধক করে উঠল। ভাবলাম ভুল কিছু দেখছি বোধহয়। পেছন পেছন হেঁটে ফের ভাল করে তাকালাম। দেখি আরও জোরে নড়েচড়ে উঠছে এবং স্পষ্ট হলো হাত পা নাড়ছে। ঘুম থেকে উঠেই জেনেছি বাড্ডার ঘটনা। সন্তানকে ভর্তির জন্য স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন তাসলিমা বেগম রেনু নামে এক মা। রামপুরা ব্রিজের ওপাশটাই বাড্ডা। আমি ওই লম্বাচুলের পিছু হেঁটে যেখানে একটু লোক সমাগম কম সেখানে উনাকে দাঁড় করাই। সন্দেহ আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে। জিজ্ঞেস করি ভাই, আপনার ব্যাগে কী? উত্তরে একটা সরল হাসি দিয়ে উনি কাঁধের ব্যাগটা একটু ফাঁক করেন, চেয়ে দেখি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে আস্ত একটা বানর। উনি এই শহরে বানর খেলা দেখান। উনাকে সংক্ষেপে শুধু বললাম ভাই, দিনকাল ভাল না। একটু সাবধানে চলবেন বলে দ্রুত বাসে উঠি আর ভাবি লোকজন উন্মত্ত হয়ে আছে, ভুল বুঝলে মধ্য বয়স্ক লোকটার এই সরল হাসির সুযোগ মানুষ নাও দিতে পারে। সন্দেহ করে মেরে ফেলার পর জনতার একজন হয়ত খুলে দেখল ব্যাগের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে একটা বানর। নির্বাক বানর মানুষের দিকে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে হয়ত ভাববে তার উত্তরপুরুষ এত বেকুব আর আহাম্মক হয়ে গেল কবে! আর দিন শেষে কোন এক গলি, ঘুপছি বা বস্তিতে অপেক্ষা করা লোকটার নিরন্ন বউ, সন্তানের জন্য মানুষ না কাঁদলেও হয়ত বানরটা কাঁদবে।’ গণপিটুনির (আসলে হত্যা, যাতে সক্রিয় অংশ নেয় গুটিকতক; বাদবাকিরা বিবেকহীন দর্শকমাত্র) শিকার নারীর পরিচয় মিলেছে। তিনি দুই সন্তানের জননী তাসলিমা বেগম রেনু; গেলেন মেয়ের ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে। তার ব্যাপারে প্রথমে সন্দেহ হলো কোন ব্যক্তির? প্রধান শিক্ষিকার কক্ষ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল কারা? সত্যিই কি থানায় খবর দেয়া হয়েছিল? কেউ কি বাঁচানোর চেষ্টা করলেন না! প্রধান শিক্ষিকাসহ অন্য শিক্ষকদের তথা স্কুল কর্তৃপক্ষ কি দায়মুক্ত হতে পারে? এইসব প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া দরকার। একইসঙ্গে গুজব বন্ধে জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে। গণপিটুনিতে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নেন তাদেরকে এইবার যেন ছাড় দেয়া না হয়। ক্ষুব্ধ জনতার আতঙ্কিত কান্ড বলে এড়িয়ে গেলে আগামীতে এ ধরনের গণপিটুনি আরো বাড়বে। ছিনতাইকারীদের হাতেনাতে ধরে গণপিটুনির চল এই সমাজে আছে। এটিও বন্ধ করার ব্যবস্থা নিন। অপরাধদমন সংস্থাকে সততা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী চারুশিল্পীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী শেষ হয়ে গেল রোববার। শিল্পী, শিল্পানুরাগীদের আনাগোনায় মুখর ছিল গোটা আয়োজন। পয়লা জুন শুরু হয়েছিল এই প্রদর্শনী। ৩১০ শিল্পীর ৩২২টি শিল্পকর্মের সমাহার ছিল প্রদর্শনীতে। কবি কামরুল হাসান সরেজমিন বিবরণ লিখেছেন তার ফেসবুক টাইমলাইনে। সেখান থেকে কিছু অংশ পাঠকের জন্যে নিবেদন করছি। তিনি লিখেছেন, ‘ সিঁড়ি সংলগ্ন খোলা জায়গায় দুটি ইনস্টলেশন ও একটি ভাস্কর্য আছে। প্রথম ইনস্টলেশনটির নাম ‘আমাদের শিলকড়ই গাছের প্রতিদিনের শিল্প’। নিলুফার চামানের কাজটি প্রতিবাদের। বাংলাদেশের সড়কের পাশে যে গাছটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সেটি শিলকড়ই। সড়ক প্রশস্তকরণ, স্থানীয় বৃক্ষখেকোদের দৌরাত্মে নির্বিচারে কাটা পড়ছে শিলকড়ই গাছ। ইনস্টলেশনটিতে কোন কাঠ চেরাইয়ের মেশিন নেই, আছে ফালি করা কাঠ আর কাঠের গুড়ি, তা দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে করাতকলের ছবি। ওপাশে কাটাতারের ওপর বসে আছে শহরের একমাত্র পাখি কাক। কাকগুলো এত নিখুঁত করে বানানো যে মনে হয় কাকের ফসিল। স্থাপনা কর্মটির নাম ‘আরব বসন্ত’। এটিও প্রতিবাদের শিল্প। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, আরব নেতাদের নির্বুদ্ধিতা আর পশ্চাদপদ মৌলবাদী শক্তির উত্থান মধ্যপ্রাচ্য বিরাণ ভূমি বানিয়েছে। ঐ নামের শান্তি আলোচনাকে তীব্র ব্যঙ্গ করেছেন শিল্পী সাইদুল হক জুইস। যুদ্ধবিধ্বস্ত সমাজের করুণ বাস্তবতাকে কাকের প্রতীকে ফুটিয়ে তুলেছেন। গ্যালারির বাইরে কয়েকটি ভাস্কর্য ও ইনস্টলেশন। কাচের দরজা ঠেলে প্রথমেই ভড়কে গেলাম ছাদের দিকে উঁচু হয়ে যাওয়া পিরামিডের চতুর্দিকে অসংখ্য মানুষের মাথার খুলি। বুঝি সেগুলো প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে তৈরি। এতটাই নিঁখুত (না, জীবন্ত বলা ঠিক হবে না) যে মনে হয় হাড়ের খুলি। দোতলার ঐ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ আর তেতলার এই খুলির পিরামিড দুটোই মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের দোসরদের গণহত্যাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। পরপর চারটি ইনস্টলেশন আর্ট দেখে এটাই প্রতীয়মান শিল্পীরা সত্যবাদী, শিল্পীরা প্রতিবাদী। কবিদের মতো তারাও ধারণ করেন মানবাত্মার আর্তনাদ।’ ২১ জুলাই ২০১৯ [email protected]
×