ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কম খরচে ভাল চিকিৎসা দিচ্ছে মালয়েশিয়া

প্রকাশিত: ১০:২০, ২৩ জুলাই ২০১৯

 কম খরচে ভাল চিকিৎসা দিচ্ছে মালয়েশিয়া

ফিরোজ মান্না, মালয়েশিয়া থেকে ফিরে ॥ অর্থনীতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা বিজ্ঞানেও বড় অগ্রগতি ঘটিয়েছে মালয়েশিয়া। এই সেক্টরেও বাংলাদেশের কর্মীদেরও কাজের ক্ষেত্র গড়ে উঠেছে। দেশটিতে কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের উন্নত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালগুলো। সিঙ্গাপুর-ব্যাঙ্ককের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে হাসপাতালগুলো চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছে। মালয়েশিয়া হেলথ ট্যুরিজম কাউন্সিলের (এমএইচটিসি) বলেছে, বিশ্ব মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য তাদের ডাক্তারদের বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার করা হয়েছে। তারা সিঙ্গাপুর ও ব্যাঙ্ককের ডাক্তারদের চেয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নততর চিকিৎসা দিচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমাদের এই পর্যায়ে আসতে বেশ সময় লেগেছে। এখন আমরা যে কোন দেশের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে উন্নত চিকিৎসা দিতে সক্ষম। গত বছর বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় ৫০ হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়ে গেছেন। তারা প্রত্যেকেই ভাল আছেন। তাদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। কোন ধরনের অসুবিধা হলে এখান থেকেই পরামর্শ দেয়া হয়। এমএইচটিসি সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ১৯ সদস্যের সংবাদ কর্মী ও ডাক্তারদের একটি প্রতিনিধিদলকে মালয়েশিয়ায় উন্নত চিকিৎসার চিত্র তুলে ধরেন। প্রতিনিধিদল দেশটির ৫টি হাসপাতাল ভিজিট করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিনিধিদলকে প্রতিটি হাসপাতালের বিশেষত্ব তুলে ধরেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে তার পরিবারের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থার কথাও উল্লেখ করেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি রোগীর পরিবারের সঙ্গে ‘পারিবারিক বন্ধন’ সৃষ্টিও করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় শীর্ষ পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছে মালয়েশিয়া। যা কিনা ‘গ্লোবাল মার্কেট রিপোর্ট ২০১৮’ অনুযায়ী, উন্নত চিকিৎসা দেয়া দেশগুলোর মধ্যে খরচ বিবেচনায় অষ্টম স্থানে রয়েছে। মালয়েশিয়া হেলথ কেয়ার ট্যুরিজম কাউন্সিলের (এমএইচটিসি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর মালয়েশিয়ায় চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন প্রায় ১২ লাখ বিদেশী। এর মধ্যে বাংলাদেশী রয়েছেন ৫০ হাজার। মালয়েশিয়া হেলথ কেয়ার ট্যুরিজম কাউন্সিলের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে অনেক সময় ইমিগ্রেশন বিভাগে দুর্ভোগে পড়তে হয়। কিন্তু কেউ যদি চিকিৎসা নিতে আসেন তাহলে তার জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগ আলাদাভাবে ব্যবস্থা নেয়। ইমিগ্রেশনে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিয়ে যাওয়া হয় রোগী ও তার স্বজনদের। এমনকি বিমানবন্দরের ভেতরেই ‘মালয়েশিয়া হেলথ কেয়ার লাউঞ্জ’ (এমএইচটিসি) নামে রোগীদের সেবায় একটি ডেস্ক রাখা হয়েছে। এমএইচটিসির কর্মীরা রোগীদের নিয়ে এসে নিজ নিজ পছন্দের হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছে। গাড়ি ব্যবস্থাও রয়েছে। চিকিৎসা সেবা শেষ হলে নিরাপদে দেশে ফেরা পর্যন্ত বিমানবন্দর পর্যন্ত এগিয়ে দেয়া হয় রোগী ও তার স্বজনদের। সম্প্রতি এমএইচটিসির আমন্ত্রণে মালয়েশিয়ের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশটির স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি দেখতে বাংলাদেশ থেকে একদল সাংবাদিক নিয়ে যাওয়া হয়। মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্টে নামার পরেই এমএইচটিসি কর্মীরা আমাদের ‘রিসিভ’ করেন। ইমিগ্রেশনে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই প্রতিনিধিদলকে নিয়ে যাওয়া হয় এমএইচটিসি লাউঞ্জে। সেখানকার কর্মীরা জানান, রোগীদের ক্ষেত্রেও তারা একইভাবে সহযোগিতা করেন। বরং রোগীদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা আরও বেশি করে করা হয়। মালয়েশিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা কোন রোগীই ইমিগ্রেশনে এক মিনিটের জন্যও দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। সরকারী নির্দেশ রয়েছে রোগীরা যেন কোন প্রকার অসুবিধা ভোগ না করেন। তিন দিনের সফরে আমরা কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বিশ্বমানের ‘থমসন হসপিটাল’, ‘টিএমসি ফারটিলিটি এ্যান্ড ওমেন্স স্পেসালিস্ট সেন্টার’, ‘গ্লিনেগেলস হসপিটাল’, ‘সান ওয়ে মেডিক্যাল সেন্টার’, ‘কেপিজে আমপাং পুত্রেই ও কেপিজে দামানসারা’ বিশেষায়িত হাসপাতালের চিত্র দেখানো হয়েছে। হাসপাতালগুলো মূলত বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত। আধুনিক ও উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা দিতে হাসপাতালগুলোতে বেশ গুণগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ বিশ্ব বিখ্যাত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে এসব হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে। চিকিৎসক, রোগী, নার্সসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পারিবারিক বন্ধনের পরিবেশ রয়েছে। হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। নোংরা পরিবেশ তো নেই, কিছু সময় পরপরই দেখা যায় পরিচ্ছন্ন কর্মীদের। রোগীদের সেন্টালি মনিটর করা হয়। গ্লিনেগেলস হসপিটালের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের ম্যানেজার ফজল আজওয়ানদি বিন আবু বকর বলেন, এখানে হাসপাতালগুলোর রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ, সরকার থেকে চিকিৎসার একটি সর্বোচ্চ খরচ নির্ধারণ করে দিয়েছে। কোন চিকিৎসক রোগীর কাছ থেকে বেশি টাকা নিলে ওই রোগী যদি স্বাস্থ্য বিভাগে অভিযোগ করতে পারেন। অভিযোগ করার পর স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্ত করে যদি তার প্রমাণ পান তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল করে দেবে। সে আর কোন দিন রোগী দেখতে পারবেন না। মালয়েশিয়ান সরকার খুবই কঠোর অবস্থানে। এমএইচটিসি জানিয়েছে, পেশেন্ট বিয়ন্ড বর্ডার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, হার্টের বাইপাস সার্জারিতে সিঙ্গাপুরে যেখানে ৫৪ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়, সেখানে মালয়েশিয়ায় খরচ পড়ে মাত্র ২০ হাজার মার্কিন ডলার। থাইল্যান্ডের তুলনায়ও যা ১৩ হাজার মার্কিন ডলার কম। বাল্ব প্রতিস্থাপনে সিঙ্গাপুরের চেয়ে ৬৫ শতাংশ কম খরচ পড়ে মালয়েশিয়ায়। সিঙ্গাপুরে যেখানে এর জন্য খরচ করতে হয় ৪৬ হাজার মার্কিন ডলার, সেখানে মালয়েশিয়ায় তা ১৫ হাজার ডলার। আর থাইল্যান্ডে এই খরচ ১৯ হাজার মার্কিন ডলার। আইভিএফ বা টেস্টটিউব বেবি নিতে আগ্রহীদেরও কম খরচ পড়বে মালয়েশিয়ায়। ওষুধ খরচ ছাড়া আইভিএফের একটি সাইকেলে সেখানে খরচ পড়বে চার হাজার ২০০ ডলার, যা সিঙ্গাপুরের অর্ধেকেরও কম। মতবিনিময়কালে মালয়েশিয়া হেলথ ট্যুরিজম কাউন্সিলের সিইও শেরিন আজলি বলেন, মালয়েশিয়ায় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছে। অনেকেই সেকেন্ড হোম হিসেবে ব্যবহার করছেন। এখানকার রান্না-খাওয়া সবকিছুই হালাল। কাজেই মুসলিম দেশ হিসেবে মালয়েশিয়া নিজের দেশের মতোই মনে করতে পারেন বাংলাদেশ থেকে আগত রোগীরা। বাংলাদেশে আমাদের এজেন্সির মাধ্যমে সহজেই রোগীরা এ্যাপয়েন্টমেন্ট ও ভিসা করাতে পারবেন। আমরা বিমানবন্দরে রোগীদের জন্য আলাদা লাউঞ্জ রেখেছি। চিকিৎসার জন্য আসা পর্যটকরা বিমানবন্দরে পৌঁছলেই সেখানে তাদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। হাসপাতালে পৌঁছা থেকে শুরু করে বাকি কাজটুকু এমএইচটিসি করে দেয়। তারা রোগীদের আস্থায় নিয়ে আসার জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দেন। কঠিন চিকিৎসাও সহজভাবে তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। প্রতিটি রোগীকে যত্নের সঙ্গে দেখা হয়। রোগী দেখার সময় কোন তাড়াহুড়া করা হয় না। রোগীকে অন্ততপক্ষে ২০-২৫ মিনিট সময় দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্টসংখ্যক রোগী দেখা হয়। এ ক্ষেত্রে সরকারের পুরো নির্দেশ মেনে চলতে হয়। একজন চিকিৎসকের জন্য সর্বোচ্চ দুইটি চেম্বার থাকতে পারবেন। রোগীর কাছ থেকে কত টাকা ফি নেয়া হবে তাও সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে একজন চিকিৎসককে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আন্তর্জাতিক মানের বেশকিছু গবেষণাপত্র থাকতে হয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। এক সেসশনে কেপিজে আমপাং পুত্রেই বিশেষায়িত হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ ইকা ফায়জুরা জানান, গত দুই বছরে হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সব যন্ত্রপাতি বদলানো হয়েছে। নতুন নতুন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রোগীদের আধুনিক মানের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখানে সাকসেস রেট অনেক বেশি। আমাদের রোগীদের এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত ফোন ই-মেলের মাধ্যমে খোঁজ খবর রাখা হয়। এরপর ৬ মাস পর ফোনে ও ইমেলে আবার যোগাযোগ করি। সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে রোগীদের চিকিৎসার জন্য। রোগীর বেডের নিচে ওয়াই-ফাই সিট রাখা হয়। এখান থেকেই সেন্টালি মনিটর করা হয় রোগীকে। পেশেন্ট বিয়ন্ড বর্ডার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে বলা হয়েছে, হার্টের বাইপাস সার্জারিতে সিঙ্গাপুরে যেখানে ৫৪ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়, সেখানে মালয়েশিয়ায় খরচ পড়ে মাত্র ২০ হাজার মার্কিন ডলার। থাইল্যান্ডের তুলনায়ও যা ১৩ হাজার মার্কিন ডলার কম। বাল্ব প্রতিস্থাপনে সিঙ্গাপুরের চেয়ে ৬৫ শতাংশ কম খরচ পড়ে মালয়েশিয়ায়। সিঙ্গাপুরে যেখানে এর জন্য খরচ করতে হয় ৪৬ হাজার মার্কিন ডলার, সেখানে মালয়েশিয়ায় তা ১৫ হাজার ডলার। আর থাইল্যান্ডে এই খরচ ১৯ হাজার মার্কিন ডলার। আইভিএফ বা টেস্টটিউব বেবী নিতে আগ্রহীদেরও কম খরচ পড়বে মালয়েশিয়ায়। ওষুধ খরচ ছাড়া আইভিএফের একটি সাইকেলে সেখানে খরচ পড়বে চার হাজার ২০০ ডলার, যা সিঙ্গাপুরের অর্ধেকেরও কম। স্বাস্থ্যসেবায় মালয়েশিয়ার অগ্রগতির স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাও। ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে গ্লোবাল রিটায়ারমেন্ট ইনডেক্সে ‘বেস্ট কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ফর হেলথকেয়ার’ এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে দেশটি। ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল ট্রাভেল জার্নাল ২০১৫ সাল থেকে টানা তিন বছর মালয়েশিয়াকে দিয়েছে মেডিক্যাল ট্যুরিজম এ্যাওয়ার্ড। এ ছাড়া চিকিৎসাসেবায় অবদানের জন্য গত ১০ বছরে আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি ও এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে মালয়েশিয়া। এ ছাড়া থাকার জন্য হোটেল ব্যবস্থাপনা সুবিধা রয়েছে। বড় বড় শপিং মল, হালাল রান্না এবং প্রার্থনার সুবিধাও রয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মুসলিম পর্যটন শীর্ষস্থানীয় ছিল দেশটি। মুসলিম ভ্রমণে মাস্টারকার্ড-ক্রিসেন্ট রেটিং গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক ওপরে। ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া হেলথ কেয়ার বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ২ মিলিয়নের (১২ লাখ) বেশি স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে। চলতি বছরের মে পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়েছে ১৪ শতাংশ। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যসেবার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ার কারণ এখানকার দক্ষ চিকিৎসক ও উন্নত প্রযুক্তি। হৃদরোগ ও ফার্টিলিটি চিকিৎসায় এশিয়ার সেরা হাব হতে চায় মালয়েশিয়া। এ জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০২০ সালকে আমরা স্বাস্থ্যসেবা ভ্রমণের বছর হিসেবে পালন করব। মালয়েশিয়ার সরকারী হাসপাতালগুলো শুধু সে দেশের নাগরিকদেরই চিকিৎসা দিয়ে আসছে। তবে ৪০ শতাংশ মালয়েশীয় নাগরিক বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। চিকিৎসার জন্য আগত পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সরকারীভাবেই পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয়। চিকিৎসায় এশিয়ার শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) আওতায় মালয়েশিয়া হেলথ কেয়ারের অধীনে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় মালয়েশিয়া হেলথ কেয়ার ট্যুরিজম কাউন্সিল। যারা বেসরকারী হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাসেবার তদারক করছে এবং বিশ্বের কাছে তুলে ধরছে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যসেবার নতুন দিগন্ত। সব রোগীকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা দিতে তারা বদ্ধপরিকর। কেপিজে আমপাং পুত্রেই হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন্ড্রু উইলিয়াম বার বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের রোগীদের বিষয়ে আমরা আরও বেশি সচেতন। এরই মধ্যে বাংলাদেশে কেপিজে-শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতাল করেছি। আশা করি, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবার সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। কেপিজে-শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে আমরা ইতোমধ্যে বিশেষায়িত কাজ শুরু করেছি।
×