ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বান্দরবান ও সাতক্ষীরায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা

প্রকাশিত: ১০:২২, ২৩ জুলাই ২০১৯

 বান্দরবান ও সাতক্ষীরায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বান্দরবান ও সাতক্ষীরায় সোমবার প্রকাশ্য দিবালোকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এদের একজন বান্দরবানের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অন্যজন সাতক্ষীরার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। জানা গেছে, বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার নাম মং প্রু রু থোয়াই। তিনি স্থানীয় সাবেক মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা চাই হ্লা উর ছোট ভাই। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে বান্দরবান সদর উপজেলার রু লাইং এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যাকা-ের জন্য আওয়ামী লীগ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করলেও বরাবরের মতো জেএসএস এ হত্যাকা-ে তারা কোনভাবেই জড়িত নয় বলে দাবি করেন। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং যথাযথ শাস্তির দাবি করছি। এদিকে ঘটনার পর বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবীসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সদর হাসপাতালে ভিড় করেন। এ সময় তারা এ হত্যাকা-ের বিচার দাবি করেন। রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে মং প্রু মারা গেছে। তবে কেন তাকে গুলি করা হয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। এর আগে গত ২২ জুন জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় অং থুই চিং মার্মা নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির এক সমর্থককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সাতক্ষীরা ॥ এদিকে সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে (৪৫) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কাশেমপুর হাজামপাড়া নামকস্থান থেকে পুলিশ তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত নজরুল ইসলাম আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীর সহ-সভাপতি ও আগরদাড়ি ইউনিয়নের কুঁচপুকুর গ্রামে মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে। আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি জানান, নিহত নজরুল ইসলাম কদমতলা থেকে বাজার করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি স্টোন ব্রিকস সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানো মাত্র পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘটনার পর হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিস জানান, হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছুই বলতে পারেননি। নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে পলাশ হোসেন জানান, স্থানীয় সাবেক মেম্বর তৌহিদুলের সঙ্গে তার বাবার বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে তার বাবাকে তৌহিদ মেম্বারের লোকজন হত্যা করতে পারে বলে তিনি সন্দেহ করছেন। ২০১৩ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত এ পরিবারের ওপর নয় বার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। সে হামলায় তার ভাই সিরাজুল ইসলাম ও ভাইপো যুবলীগ নেতা রাসেল নিহত হন। নিহত নজরুল ইসলাম নিজের নিরাপত্তার জন্য ১৩ সাল থেকে কয়েক বছর সদর থানায় রাত্রিযাপন করতেন।
×