ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাচীন বসতির সন্ধান!

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ২৩ জুলাই ২০১৯

 প্রাচীন বসতির সন্ধান!

জেরুজালেম থেকে তিন মাইল পশ্চিমে ইসরাইলের মোৎজা শহরে প্রস্তর যুগের এক বসতির সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানকার আধুনিক নগর পরিকল্পনার ছোঁয়া ও চাষবাসেরও ব্যবস্থা দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকরা বিস্মিত। খনন করার সময় তীরের ফলার টুকরো, সে যুগের কানের দুলও পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে নিওলিথিক যুগের এক বড় শহরের ছবি এখন প্রত্নতত্ত্ববিদদের সামনে। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন ইসরাইলের পুরাতত্ত্ব বিভাগের কর্তারা। তাদের দাবি, ওই বসতিতে অন্তত তিন হাজার বাসিন্দার বসবাস ছিল। খননকাজের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকা জ্যাং ভার্দি অবশ্য জানাচ্ছেন, প্রত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে ওই এলাকার গুরুত্ব অনেকদিন ধরেই স্বীকৃত। তবে এই সাম্প্রতিক আবিষ্কার পুরো দক্ষিণ লেভান্ত অর্থাৎ ইসরাইল, ফিলিস্তিন, জর্দান, দক্ষিণ লেবানন ও দক্ষিণ সিরিয়ার মধ্যে বৃহত্তম এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। অবশিষ্ট বসতিগুলোর তুলনায় এটি অনেক বড় শহর। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টার ব্যবহারে রীতিমতো চমকে দিতে পারতেন সেখানকার বাসিন্দারা। যেভাবে সেখানকার দুটি বাড়ির মধ্যে রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তাতে উন্নত নগর পরিকল্পনার ছাপও স্পষ্ট। বিভিন্ন জায়গায় গুদামে শস্যদানা মজুত করে রাখা হতো যার অর্থ চাষাবাদও চলত সে বসতিতে। তবে তীরের ফলা থেকে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, জীবিকা হিসেবে শিকারকেই প্রাধান্য দিতেন বাসিন্দারা। তবে পশুপালনও হতো। সেটা পশুদের হাড়ের অবশিষ্টাংশ থেকে স্পষ্ট। ভার্দির দলের দাবি, বিভিন্ন ধরনের যেসব যন্ত্রপাতির সন্ধান পাওয়া গেছে তা থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে, অস্ত্র তৈরিতে রীতিমতো দক্ষ ছিলেন সে যুগের মানুষ। ছুরি, গাছ কাটার অস্ত্রেও পাশাপাশি প্রসাধনের জন্য ব্যবহৃত গয়না তৈরির মতো সূক্ষ্ম হাতের কাজের পারদর্শিতাও ছিল তাদের। তার প্রমাণ হিসেবে পাওয়া গেছে পাথরের ব্রেসলেট, বিভিন্ন ধরনের পাথরের তৈরি পুতুল ইত্যাদি। বসতির মানুষরা বাণিজ্য সম্পর্কও তৈরি করেছিলেন বহির্বিশ্বের সঙ্গে। এর আগে জেরুজালেম থেকে সবচেয়ে পুরনো যে ধ্বংসাবশেষটির সন্ধান পাওয়া যায় সেটি ছিল সাত হাজার বছরের পুরনো। সেদিক থেকে সাম্প্রতিক আবিষ্কার আরও পুরনো। -ইন্ডিয়া টাইমস
×