ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জানালেন মেয়র সাঈদ খোকন

নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার প্রজনন রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত

প্রকাশিত: ১২:২৬, ২৩ জুলাই ২০১৯

নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার প্রজনন রোধে  ভ্রাম্যমাণ আদালত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে এডিস মশার প্রজনন রোধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। যেসব নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার প্রজনন স্থল বা প্রজনন হতে পারে এমন পরিবেশ পাওয়া যাবে, সেগুলোর মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত চিকিৎসাধীন শিশুদের দেখতে গিয়ে মেয়র এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এমন মোবাইল কোর্ট চলবে। আমাদের পাঁচটি অঞ্চলের পাঁচজন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও অনেক কর্মকর্তার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আছে। তাদের ইতোমধ্যেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যতদিন না ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা চলবে। মেয়র বলেন, ডিএসসিসি দেখেছে, নির্মাণাধীন ভবনে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশার প্রজনন অন্য জায়গার চেয়ে বেশি। বিভিন্ন ভবন মালিকদের আমরা এ বিষয়ে সচেতন হতে বলেছি এবং তাদের সতর্ক থাকতে বলেছি। যেন তাদের ভবনে এডিস মশা প্রজননের পরিবেশ সৃষ্টি না হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তারা এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করছেন না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এসব ভবনে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। আর যেসব ভবনে এডিস মশার প্রজনন স্থল বা লার্ভা পাওয়া যাবে, সেসব ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাই আমি ভবন মালিকদের কাছে অনুরোধ করব, যে কোন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে আপনারা স্ব স্ব ভবন থেকে এমন প্রজননস্থল ধ্বংস করে দেন। ডেঙ্গু ভাইরাসের মশার প্রজননস্থল এবং লার্ভা ধ্বংসের জন্য নগরবাসীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ১৫ দিনে নগরীর ২৫ হাজার বাসা থেকে লার্ভা ধ্বংসে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। এর পাশাপাশি নগরবাসীদের আমরা লার্ভা ধ্বংসের প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। যেন তারা নিজেরাও এই কাজ করতে পারে। চলতি মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে ডেঙ্গুর আসল মৌসুম শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের ৬৮টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে, ৫৭টি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এরপর মেয়র শিশু হাসপাতালের উর্ধতন চিকিৎসকদের নিয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন শিশুদের দেখতে যান ও শিশুদের অভিভাবকদের কাছে স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি। পরিদর্শনকালীন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রিজওয়ানুল হাসান বিপুলসহ অন্য চিকিৎসক মেয়রকে পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।
×