ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার

রাজধানীতে নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোন পশুর হাট নয়

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২৩ জুলাই ২০১৯

 রাজধানীতে নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোন পশুর হাট নয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোন পশুর হাট বসতে পারবে না। তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে আসা কোরবানির পশু নির্ধারিত হাট ছাড়া অন্য কোথাও নামানো যাবে না। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ঈদ-উল-আজহা, কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ডিএমপি কমিশনার জানান, আমাদের সবার সঙ্গে সমন্বয় করে একটি সুন্দর কোরবানির পশুর হাটের ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকা শহরের অনুমোদিত পশুর হাটে থাকবে পুলিশের কঠোর নজরদারি। পশুবাহী ট্রাক যেখানে যেতে চায় তা সেখানে যেতে দিতে হবে। কোন অবস্থায় ট্রাকে বাধা দেয়া যাবে না। গন্তব্যস্থানের নাম বড় করে ব্যানারে লিখে প্রত্যেকটি ট্রাকের সামনে ঝুলিয়ে রাখাতে হবে। কোনভাবেই এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নামানো যাবে না। যদি এমন কেউ করে তাকে ফৌজদারি অপরাধে আইনের আওতায় আনা হবে। আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, ঈদ-উল-আজহা সামনে রেখে পশুর হাট, টাকা পরিবহন, চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি জালনোট শনাক্তকরণের ব্যবস্থা থাকবে। তিনি জানান, হাসিলের টাকার হার বড় ব্যানারে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ভ্রাম্যমাণ দোকান ও হকার হাট এলাকায় ঢুকতে পারবে না। ইজারাদাররা নির্দিষ্ট খাবার দোকান ঠিক করে দেবেন। ইজারার চৌহদ্দির বাইরে কোন হাট বসতে দেয়া হবে না। প্রত্যেক হাটে থাকবে পুলিশের কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার। পশুর হাটে ও তার আশপাশে জনসচেতনতামূলক ব্যানার দৃশ্যমান স্থানে টানানো ও প্রচার করতে হবে। জাল টাকা শনাক্তকরণের জন্য পুলিশ কন্ট্রোল রুমে থাকবে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন। হাট এলাকায় বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের জন্য ইজারাদাররা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটরের ব্যবস্থা নেবেন। হাটের চৌহদ্দি বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করে রাখতে হবে এবং পরিচয়পত্রসহ ইজারাদাররা পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেবেন। পুলিশের ‘মানি এস্কর্ট’ ছাড়া বড় অঙ্কের নগদ টাকা বহন না করতেও আহ্বান জানান তিনি। ঈদে রাজধানীর নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার জানান, এবারের ঈদ-উল-আজহায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। তার মধ্যে পশুর হাটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মানি এস্কর্ট ও জালনোট শনাক্তকরণ এবং চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ে পাচার রোধে নিরাপত্তা দেয়া হবে। এছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে স্বর্ণের দোকান, মার্কেট, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ ও পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়া এবং ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী ব্যবস্থা। ডিএমপি কমিশনার বলেন, কাঁচা চামড়ার পাচার রোধে ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথগুলোতে বসানো হবে চেকপোস্ট। নদী পথে বাড়ানো হবে নৌ পুলিশের টহল। ঢাকার বাইরে থেকে শুধু কাঁচা চামড়াবাহী যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে। সমন্বয় সভায় ডিএমপি ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থা, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, দোকান মালিক সমিতি, হাট ইজারাদার, চামড়া ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। ২০১৯ সালের ঈদ-উল-আজহায় ঢাকা মহানগরে অনুমোদিত পশুর হাটের সংখ্যা মোট ২৭টি। যার মধ্যে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১৫টি, উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১১টি এবং ক্যান্টমেন্ট রোডে অনুমোদনে একটি পশুর হাট রয়েছে।
×