ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্পকে কোন অনুরোধ করেননি মোদি

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২৩ জুলাই ২০১৯

কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্পকে কোন অনুরোধ করেননি মোদি

অনলাইন ডেস্ক ॥ কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, নরেন্দ্র মোদি তাকে দু’সপ্তাহ আগে মধ্যস্থতা করতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের এমন দাবি নস্যাৎ করে বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমন কোনও অনুরোধ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে করেননি। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হলে দ্বিপাক্ষিক স্তরেই তা হবে।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে তিনদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। এই সফরে তার সঙ্গী হয়েছেন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, আইএসআই প্রধান ফৈয়জ হামিদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। সোমবার পাক প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে প্রথম বৈঠক হয় ট্রাম্পের। তারপরেই ওভাল অফিসে ইমরানের পাশে বসেই কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার কথা তোলেন ট্রাম্প। ইমরান প্রথমে বলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু হওয়া দরকার। সে কথার সূত্রেই ট্রাম্প যোগ করেন, দু’সপ্তাহ আগে মোদির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানতে চেয়েছেন, ‘আমি মধ্যস্থতা করতে রাজি আছি কি-না। আমি প্রশ্ন করেছিলাম কোন বিষয়ে? তিনি বলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে। কারণ, বিবাদটা অনেক দিন ধরে চলছে। আমি তাকে জানাই, মধ্যস্থতা করতে পারলে আমি খুশিই হব।’ এ কথা শুনে খুশি হয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘এটা হলে ১০০ কোটি মানুষের শুভেচ্ছা আপনার সঙ্গে থাকবে।’ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য তারা শুনেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্রাম্পকে এমন কোনও অনুরোধ করেননি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সব বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক স্তরেই আলোচনা হবে, এটাই ধারাবাহিকভাবে বলা হচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে গেলে আগে সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ হওয়া দরকার বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এর ফলে উপমহাদেশে শান্তি স্থায়ী হতে পারে।’ কিন্তু কংগ্রেসের শশী তারুর এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমার মনে হয় মোদি কী বলছেন তা ট্রাম্প বোঝেননি। বা তাকে বিষয়টি ঠিকভাবে বোঝাতে পারেননি মার্কিন কূটনীতিকরা।’
×