ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে গুজব রটিয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৫২, ২৪ জুলাই ২০১৯

দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে গুজব রটিয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ছেলেধরার গুজব রটিয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। যারাই এই ঘটনা ঘটাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের শাস্তি পেতেই হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে কতগুলো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে। ঘটনাগুলো কারও কাছে কাম্য নয়। সবগুলো নিছক গুজব, এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। আমি এর সঙ্গে জানাতে চাচ্ছি, যারা এই ধরনের গণপিটুনিতে অংশ নেয়, একজন যদি এই ধরনের হত্যাকা- ঘটান কিংবা ১০০ জনে ঘটান-শাস্তি কিন্তু একই রকম হবে। এই ধরনের হত্যাকা- ঘটালে অবশ্যই আমরা আইনের মুখোমুখি করব। আইন অনুযায়ী তাকে শাস্তি পেতেই হবে। পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগার গুজব। এরমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এর পেছনে কী উদ্দেশ আছে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, একটা কনফিউশন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্যই এগুলো করা হচ্ছে। একজন সাধারণ মানুষ, যারা শ্রমিক, অশিক্ষিত লোক তারাও বোঝে ব্রিজ তৈরি করতে মানুষের মাথা লাগে না। তাহলে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে। এগুলোর নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ আছে। আমরা সবগুলো দেখছি। তিনি বলেন, এর সঙ্গে (পিটিয়ে মানুষ হত্যা) যদি কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ থাকে কিংবা কোন অর্থনৈতিক উদ্দেশ থাকে কিংবা কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য- যেটার জন্যই করে থাকুক যে ঘটিয়েছে আমরা তাকে ধরছি, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ছেলেধরা সন্দেহে গত কয়েকদিনে সারাদেশে ৬ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এতে আহত হয়েছেন ১৫ ব্যক্তি। মামলা হয়েছে ৯টি, জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হয়েছে ১৫টি। পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সারাদেশে ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও গ্রেফতার করব। তবে আমরা গণগ্রেফতারে বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি যিনি অপরাধ করেছেন তাকে শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করব। সে একজন করুক কিংবা ১০ জন করুক কিংবা আরও বেশি মানুষ সম্পৃক্ত থাকুক। তিনি বলেন, যারা ঘটনার সত্যতা বিচার না করে নিজেরা আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ করব, আপনারা কোন ক্রমেই আইন হাতে তুলে নেবেন। যদি কারো প্রতি কোন সন্দেহ হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে সোপর্দ করে দিন। কিংবা ৯৯৯ নম্বরে জানান। কিংবা ওই এলাকার সবাইকে জানান। এরই মধ্যে কয়েকজন এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমরা বসে নেই, সবগুলো ঘটনাকে সামনে এনে, ভিডিও ফুটেজ দেখে কারা কারা সম্পৃক্ত হয়েছিলেন, এগুলোর আইনানুগ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।
×