ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের আয়োজনে পোশাকের প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ১২:১২, ২ আগস্ট ২০১৯

ঈদের আয়োজনে পোশাকের প্রস্তুতি

ঈদ-উল-ফিতরের রেশ কাটতে না কাটতেই দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ-উল-আযহা। ঈদকে সামনে রেখে উৎসবের আমেজে সেজেছে পুরো দেশ। অপরূপ সুন্দর আমাদের এই বাংলাদেশ। এই সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে ষড় ঋতুর ছোঁয়ায়। ঋতুভিত্তিক বাংলাদেশ অনেক বেশি বর্ণিল। কতই না রং। কি অনবদ্য শিল্পীর ছোঁয়া, রং রূপের যেন এক মহাসম্মিলন ঘটে এই দেশে। যে দেখে সেই ভালবেসে ফেলে এই দেশটাকে। সেই সঙ্গে যদি যোগ হয় কোন উৎসব, তাহলে তো কথাই নেই। উৎসবের রঙিন আকাশের বর্ণিল আভা যেন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। তেমনি এক উৎসব হচ্ছে ঈদ-উল-আযহা। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যে কারণে মুসলিমপ্রধান এই দেশে এ উৎসবের মাত্রা যেন বহু গুণে বৃদ্ধি পায়, এ উৎসবে পশু কোরবানির মাধ্যমে মনের পশুত্বকে দূর করা ছাড়াও একে অপরকে উপহার দেয়াটাও একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। আর এ উপহারের তালিকায় পোশাক হচ্ছে অন্যতম। মেয়েদের নিত্য ব্যবহার্য পোশাক সালোয়ার-কামিজ, দেশীয় শাড়ির পাশাপাশি বিদেশী শাড়ি ও অন্যান্য পোশাক ঈদের কেনাকাটার তালিকায় স্থান পায়। শিল্পীর ছোঁয়া, রং রূপের যেন এক মহাসম্মিলন ঘটে এই দেশে। যে দেখে সেই ভালবেসে ফেলে এই দেশটাকে। সেই সঙ্গে যদি যোগ হয় কোন উৎসব, তাহলে তো কথাই নেই। উৎসবের রঙিন আকাশের বর্ণিল আভা যেন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। তেমনি এক উৎসব হচ্ছে ঈদ-উল-আযহা। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যে কারণে মুসলিমপ্রধান এই দেশে এ উৎসবের মাত্রা যেন বহু গুণে বৃদ্ধি পায়, এ উৎসবে পশু কোরবানির মাধ্যমে মনের পশুত্বকে দূর করা ছাড়াও একে অপরকে উপহার দেয়াটাও একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। পারিবারিক আবহ খুশির এ মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। ঈদের সকালে ছোট বড় সবাই একসঙ্গে নামাজ পড়তে যাওয়া, কোলাকুলি করা, সেলামি দেয়া নেয়া উৎসবকে অন্য এক উচ্চতায় তুলে ধরে। রমণীর ঈদ বিবর্তনের ধারায় শাড়ি আজ বাঙালী রমণীর প্রথম পছন্দের পোশাক। এক সময় হাতে বুনন হতো যে শাড়ি তা আজ বিদ্যুতচালিত তাঁতকলেও যেমন তৈরি হয়। একইভাবে হাতে বুনন করা শাড়িও পাওয়া যায় সর্বত্র। বাংলার এই প্রাচীন পোশাকের রয়েছে এক ধ্রুপদী ঐতিহ্য। বাংলার সুবিখ্যাত মসলিন, জামদানি, টাঙ্গাইল, পাবনা, সিরাজগঞ্জের তাঁতের শাড়ির কদর আজ সর্বজন সুবিদিত। একসময় শুধু হাতে বোনা শাড়ি বাংলার নারীরা পরিধান করলেও পরবর্তীতে সূচিত হয় যন্ত্রচালিত তাঁতের শাড়ি বুননের যুগ। এরই মধ্যে হারিয়ে গেছে মসলিনের মতো ইতিহাসখচিত শাড়ি। নারায়ণগঞ্জের জামদানি শাড়ির নিবিড় মায়াবি ফুলেল আর বিমুগ্ধ ধারা, টাঙ্গাইল, পাবনা, সিরাজগঞ্জের তাঁতের বর্ণোজ্জ্বল আকণ্ঠ সুন্দর কারুকার্যময় শাড়ি এবং মিরপুরের শিল্পিত কাতান-বেনারসী নারীর কাছে আজ অনন্য পোশাক হিসাবে বিবেচিত। আবহমানকাল ধরে বাংলার সব বয়সী, সব প্রান্তের নারীরই প্রিয় পোশাক শাড়ি। অন্যান্য সময়ের মতো আসন্ন ঈদেও পাওয়া যাবে বিভিন্ন শপিং মলের ফ্যাশন হাউস থেকে শুরু করে বিভিন্ন শাড়ির দোকানে। অন্যান্য শাড়ির পাশাপাশি দেশীয় প্রিন্টেড শাড়িও পাওয়া যাবে সহনীয় দামে। সেই সঙ্গে ভিনদেশী জর্জেটও সংগ্রহ করা যাবে। দেশের তৈরি সুতি, সিল্ক, টিস্যু, জুটকাতান, বেনারসী কাতানসহ নানা বর্ণ ও কারুকাজের শাড়ি ঈদসহ সকল উৎসবেই পাওয়া যায় বিভিন্ন আউটলেটে। ঘরে ঘরে ঈদ আনন্দ ঈদের আমেজে ঘরের পরিবেশটাই বদলে যায়। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই চলে ঘর গোছানোর প্রস্তুতি। বেডশীট, সোফার কুশন থেকে শুরু করে শো পিছ পর্যন্ত নতুনত্বের ছোঁয়া পায়। আবার অনেকে ঘরের ফার্ণিচার এদিক সেদিক করে লুকিং এর পরিবর্তন আনেন। ইদানিং মাটির তৈজস পত্রে ঘর সাজানোটা দেখতে বেশ ভাল লাগে। নতুন পর্দাও ঘরের অন্যরকম আভা ছড়ায়। অল্প জায়গায় অতিথিদের বসার জায়গা করে দেয়াটাও কিন্তু চৌকষতার পরিচায়ক। আর আপ্পায়ন তো যে যার সাধ্যমতো করবে। তবে পরিবেশন টা কিন্তু সুন্দর হওয়া চাই। দলবেঁধে ঈদগাহে যাওয়ার মধ্যে অন্যরকম এক আনন্দ বিরাজ করে। সুগন্ধি মেখে সারি বেঁধে নামাজে যাওয়ার মাঝেই একে অপরের কুশল সেরে নেয়াও যেন এক ধরনের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। নামাজ শেষে কোলাকুলি করা এ আনন্দের দৃশ্য যেন অন্য সব দৃৃশ্যকে হার মানায়। বিভেদ ভুলে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি এ যেন অন্য রকম এক আবহ। কোলাকুলি শেষ করেই সবাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয় পশু কোরবানির জন্য। বাড়িতে পৌঁছেই ছোট ছেলেমেয়েরা বড়দের পা ছুঁয়ে সালাম করে সেলামি নেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে আর বড়রাও সেলামি দিয়ে অন্যরকম আনন্দ পেয়ে থাকে। পারিবারিক এ আবহ আরও দৃঢ় করে পারিবারিক বন্ধন। এর পরেই সবাই পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুতি নেয়। মনের যত পশুত্ব এ পশু কোরবানি মাধ্যমে তা দূর করার প্রত্যয়েই পশু কোরবানি করা উচিত। ছবি : মানস সেন মডেল : টুটুল মাহমুদ, কোয়েনা, শবনম আজমি মেকআপ : ওমেন্স ডল ড্রেস : ডিমান্ড
×