ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নুসরাতের মধূচন্দ্রিমার ছবি প্রকাশ্যে এল

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৪ আগস্ট ২০১৯

নুসরাতের মধূচন্দ্রিমার ছবি প্রকাশ্যে এল

অনলাইন ডেস্ক ॥ গত ১৯ জুন তুরস্কের বোদরুমে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন টলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। পাত্র নিখিল জৈন পেশায় ব্যবসায়ী। অবশ্য অভিনেত্রী বললেই নুসরতের পরিচয় শেষ হয়ে যায় না। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত সাংসদও তিনি। সম্প্রতি এই নবদম্পতি মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশে উড়ে গেছেন সুদূর মরিশাস। সেখান থেকেই ইনস্টাগ্রামে বেড়ানোর ছবি শেয়ার করেছেন তাঁরা। বিয়ের পর থেকেই নানা কাজে ভীষণ ব্যস্ত নুসরাত। কখনও শপথ নিতে সংসদে ছুটে গেছেন, কখনও বা ইসকনের রথযাত্রায় বিশেষ অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেছেন। অবশেষে ব্যস্ততা কাটিয়ে দু’জনে একান্তে কিছুটা সময় কাটানোর জন্যই পাড়ি দিয়েছেন মরিশাস। প্রথমে কলকাতা থেকে মুম্বাই, সেখান থেকে ভোরের বিমানে সোজা মরিশাস। মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নুসরতের ঘুম জড়ানো ‘নো মেকাপ’ লুক-এর ইনস্টা পোস্ট নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। হাতে চূড়া, গায়ে সাদা-নীলের মিশেলে ফুলহাতা জামা— নুসরাতের ‘হনিমুন স্পেশাল আউটফিট’ চোখ টানবে সবারই। নিখিলও কম যান না! নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে হনিমুনের ছবি পোস্ট করেছেন তিনিও। নুসরাতের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘উইথ মাই মুন’! পেছনে সবুজ পাহাড়ের রাশি। হাতে হাত রেখে তাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন একসঙ্গে। সময় যেন থমকে গিয়েছে। দু’জনের সম্পর্কের রসায়ন ছাপিয়ে গিয়েছে মরিশাসের চোখধাঁধানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেও। ১৯ জুন শুরু হয়েছিল নুসরাত-নিখিলের বিবাহিত জীবনের ইনিংস। এত জাঁকজমক, এত আয়োজন টলিউডে আর কোনও বিয়েতে কার্যত দেখা যায়নি। মেহেন্দি, সঙ্গীত, ইয়ট পার্টি, হোয়াইট ওয়েডিং— কী ছিল না সেখানে! টলি ইন্ডাস্ট্রি থেকে কারও নিমন্ত্রণ না থাকলেও নুসরাতের অন্তরঙ্গ বন্ধু অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী কিন্তু প্রথম দিন থেকেই তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী! দেশে ফিরে কলকাতার এক সাত তারা হোটেলে ধূমধামের সঙ্গেই সম্পন্ন হয়েছিল নুসরাত-নিখিলের গ্র্যান্ড রিসেপশন। চাঁদের হাট বসেছিল সেখানে। সন্ধে হতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টলি জগত থেকে রাইমা সেন, আবির চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ছিলেন অনেকেই। রিসেপশনের দিন সন্ধ্যায় নুসরাতের দিকে তাকিয়ে নিখিল বলেছিলেন, ‘‘ওর দায়িত্ব আমার। ওকে ভাল রাখব সবসময়।’’ আর নুসরাত কী বলেছিলেন? মুচকি হেসে নুসরাতের জবাব ছিল: ‘‘সারা জীবন একই লোকের সঙ্গে কাটাতে হবে! বুঝতে পারছেন চাপটা?’’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×