ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিবন্ধী মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া দুই নবজাতকের ঠাঁই হলো বেবীহোমে

প্রকাশিত: ০২:৫৩, ৮ আগস্ট ২০১৯

প্রতিবন্ধী মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া দুই নবজাতকের ঠাঁই হলো বেবীহোমে

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ প্রতিবন্ধী দুই মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া পাঁচ দিন বয়সের নবজাতক কন্যা শিশু ফাহিমা ও কুলসুমের ঠাঁই হয়েছে বেবীহোমে। এখন থেকে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় অবস্থিত বিভাগীয় বেবীহোমেই বেড়ে উঠবে তারা। বুধবার সন্ধ্যায় ওই দুই নবজাতককে বেবীহোমের উপ-তত্ত্বাবধায়কের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা সমাজসেবা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দুই শিশুর মধ্যে শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জন্ম নেওয়া ফাহিমা বরিশাল নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা এক বাকপ্রতিবন্ধীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছে। আর কুলসুমের জন্ম হয় পিরোজপুর হাসপাতালে। সেখানে মানসিক প্রতিবন্ধী মা শিশুটিকে জন্ম দিয়েই পালিয়ে যায়। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে মায়ের নামের জায়গায় লেখা রয়েছে শাবনুর বেগম। সমাজসেবা অধিদফতর বরিশালের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উজিরপুর উপজেলা থেকে নিরাপদ আবাসনে পাঠানো হয় বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে। গত পাঁচদিন আগে সে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার একটি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। নবজাতকের নাম রাখা হয় ফাহিমা। প্রতিবন্ধী মায়ের পক্ষে নবজাতককে লালন-পালন সম্ভব না হওয়ায় ফাহিমাকে বরিশাল বিভাগীয় বেবীহোমে হস্তান্তর করা হয়। এখন থেকে সেখানেই বড় হবে শিশুটি। তবে কেউ যদি আইনীভাবে অভিভাবক হতে চান, তাহলে আদালতে আবেদন করতে পারবেন। সূত্রমতে, গত তিন দিন আগে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে শাবনুর বেগম নামে মানসিক বিকারগ্রস্ত এক নারী কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এরপরেই হাসপাতাল থেকে মায়ের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সমাজসেবা অধিদফতরকে জানানো হয়। পরবর্তীতে পিরোজপুরের শিশু আদালত নবজাতক কুলসুমকে বরিশাল বিভাগীয় বেবী হোমে লালন-পালনের নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক শিশুটিকে বেবীহোমের উপ-তত্ত্বাবধায়কের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিভাগীয় বেবীহোমের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ফাহিমার জন্ম সাত মাস বয়সে হওয়ায় সে কিছুটা অসুস্থ্য। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তার চিকিৎসা করা হবে। আর কুলসুম পুরোপুরি সুস্থ্য রয়েছে।
×