নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আনোয়ার হোসেন (১৪) নামে ৮ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। সে উপজেলার ফিলিপনগর ইউপি’র ইসলামপুর ঘোষপাড়া এলাকার মজিবর রহমান বরাতির ছেলে ও ইসলামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। সোমবার ঈদের দিন সন্ধ্যায় পদ্মা নদী তীরবর্তী ফিলিপনগর আবেদের ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদের দিন সন্ধ্যায় ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদেরঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর ধারে আনোয়ার হোসেন ঘুরতে যায়। এসময় ফিলিপনগর দফাদারপাড়া এলাকার মিন্টুর ছেলে সাব্বিরের (১৬) সাথে তার ধাক্কা লাগে। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্কা তর্কি হলে সাব্বির বাড়ি ফিরে ধারাল ছুরি নিয়ে এবং তার বড় ভাই রাব্বিসহ ৪-৫জন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে নদীর ধারে গিয়ে আনোয়ার হোসেনকে পেটে ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যয়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর হাসপাতালে নেয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে আনোয়র হোসেন মারা যায়। এ ঘটনার পর দৌলতপুর থানা পুলিশ রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক সাব্বিরের ভাই রাব্বি (১৮) সহ ৩জনকে আটক করেছে।
স্কুলছাত্র হত্যাকান্ডের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. আজম খান বলেন, গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে আটক ৩জনের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। নিহত স্কুল ছাত্রের লাশের সাথে তার বাবা রয়েছেন। তিনি ফিরলে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: