ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাট শিল্পের মতো চামড়া শিল্পও ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে- রিজভী

প্রকাশিত: ০৭:২৬, ১৪ আগস্ট ২০১৯

পাট শিল্পের মতো চামড়া শিল্পও ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে- রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাট শিল্পের মতো দেশের চামড়া শিল্পও ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, কাঁচা চামড়া রফতানি করা হলে শতভাগ দেশীয় শিল্প অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে এবং এই শিল্পে হাজার হাজার কোঢি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। তিনি বলেন, কোরবানীর পশুর দানের চামড়াগুলো দিয়েই মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো চলে। কিন্তু তারা এবার বিপাকে পড়েছে। ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কৃষকরা যখন ধানক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো, ঠিক তখনই বিদেশ থেকে আমদানীকৃত ট্রাাক বোঝাই চালের দৃশ্য দেখতে হয়েছিলো। রিজভী বলেন, কোরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে যখন দেশের মানুষ ক্ষোভে দুঃখে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেললো ঠিক তখনি পানির দরে কেনা কাঁচা চামড়া রফতানির ঘোষণা দিল সরকার। ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটির মধ্যে মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে কাঁচা চামড়া রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলো সরকার। গরীব, মিসকিন, এতিমদের হক মারার পর কার স্বার্থে এবং কেন তড়িঘড়ি করে চামড়া রফতানির ঘোষণা দেয়া হলো তা দেশের মানুষ জানতে চায়। রিজভী বলেন, একদিকে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে কম টাকায় চামড়া কিনে এতিম মিসকিনদের পেটে ভয়বহ নিষ্ঠুরতায় লাথি মারা হলো। অন্যদিকে এখন আবার কাঁচা চামড়া বিদেশে রফতানির সুযোগ দিয়ে দেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হলো। আর এসব ছিলো পূর্ব পরিকল্পিত এবং সিন্ডিকেটের লুটপাটের জন্য মহাকারসাজি। এই চামড়াই আবার দেখা যাবে অন্য দেশ থেকে আমদানী করা হবে চড়ামুল্যে। রিজভী বলেন, চামড়াশিল্প ধ্বংস করতে পানির দরে কেনা কাঁচা চামড়া প্রতিবেশী দেশে রফতানি করতে চাচ্ছে সরকার। এতে করে ঠকানো হয়েছে এতিম, গরীব ও মিসকি দের। আর জিতানো হয়েছে লুটেরা ও সিন্ডিকেটদের। এর ফলে ক্ষতি হবে চামড়া শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অনেক লোক। বেকার হয়ে পড়বে এর সঙ্গে জড়িতে বিপুল সংখ্যক মানুষ। তাই আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। ##
×