স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশের ফুটবল এগিয়ে নিতে বড় প্রভাব ফেলবে বাফুফের একাডেমি ... এমনটাই বিশ্বাস ব্রিটিশ কোচ রব রাইলসের। একাডেমির ক্যাম্পে স্কিল ও ফিটনেস পাচ্ছে বাড়তি গুরুত্ব। আপাতত বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে ভাল করাকেই লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করেছে ম্যানেজমেন্ট।
ফর্টিজ গ্রুপের সহায়তায় ঢাকার বাড্ডার বেরাইদে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু বাফুফে একাডেমির। শুরুতে ৬০ ফুটবলার নিয়ে হয়েছিল আবাসিক ক্যাম্প। অ-১৫ ও ১৮ বিভাগের এই ফুটবলার সংখ্যা এখন কমে হয়েছে ৪০।
দেশে প্রতিভাবান ফুটবলারের কমতি নেই। কিন্তু একাডেমির সংস্কৃতি না থাকায় প্রতিভাবান ফুটবলাররা সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে যায়। সে কারণেই জাতীয় দলের পাইপলাইন বরাবরই থেকেছে নড়বড়ে। বাফুফে সেই সমস্যার সমাধান খুঁজছে একাডেমির মাধ্যমে। কোচ রাইলসও আশাবাদী ফুটবলারদের নিয়ে।
রাইলস বলেন, ‘রাতারাতি সবকিছুর পরিবর্তন সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই দেশের ফুটবল উন্নয়নে একাডেমি দারুণ কাজ করবে। কিন্তু এখনই জাতীয় দলে এদের নিয়ে চিন্তা করা ঠিক হবে না। এশিয়া ও সাফ বয়সভিত্তিক আসরগুলোতে ভাল ফল আনাই মূল লক্ষ্য।’
পারর্ফমেন্সের ভিত্তিতে ক্যাম্পে ফুটবলার কমিয়ে আনা হয়েছে। সকাল-বিকাল দুই সেশনে চলছে নিবিড় অনুশীলন। বাছাই করা আরও কিছু ফুটবলার যোগ দেবে অচিরেই। দেশি-বিদেশি কোচের সমন্বয়ে একাডেমিতে প্রস্তুত হচ্ছে ক্ষুদে ফুটবলাররা। দিনে দিনে বড় হচ্ছে ওদের স্বপ্ন। খেলতে চায় জাতীয় দলে। হতে চায় মামুনুল-জামাল ভুঁইয়াদের মত তারকা ফুটবলার।
কিছুটা তড়িঘড়ি করে একাডেমি চালু করলেও এখনও আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান হবে বলছে বাফুফে।
পরিকল্পনার অভাবেই দেশের ফুটবলের উল্টো পথে হাঁটা। অনেকটা দেরিতে হলেও একাডেমি যেহেতু কার্যক্রম শুরু করেছে, ফলে একটা আশার জায়গা তৈরি হয়েছে। এই একাডেমির সাফল্যের ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যত।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: