ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের ছুটি শেষে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যাত্রীদের চাপ

প্রকাশিত: ০৩:২৮, ১৭ আগস্ট ২০১৯

ঈদের ছুটি শেষে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যাত্রীদের চাপ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ আজ শনিবার সকাল থেকে কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে যাত্রী চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথ হয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবি মানুষ। শুক্রবার বিকেল থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের ভীড় দেখা দেয়। ফিরতি পথেও সব ধরণের যানবাহনে বাড়তি ভাড়ার দৌরাত্ম অব্যাহত রয়েছে। লঞ্চগুলোতে ভীড়ের কারণে ফেরিতে যাত্রী চাপ বেশি দেখা গেছে। দক্ষিনাঞ্চল থেকে ফিরতি পথে প্রতিটি যানবাহন ও কাঁঠালবাড়ি থেকে ছেড়ে যাওয়া স্পীডবোটে ও লঞ্চগুলোতে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ, র্যাব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিপুল সংখ্যক আইন শৃংখলা রক্ষাবাহিনী নিয়োজিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করছেন। এর মধ্যদিয়ে চলছে বাড়তি ভাড়ার দৌরাত্ম। ঘাটের একাধিক সুত্রে জানা যায়, কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ফেরিতে যানবাহনের চাপ তেমন না থাকায় যাত্রীদের পর্যাপ্ত চাপ রয়েছে। স্পীডবোটে বাড়তি ভাড়ার কারণে যাত্রীরা ফেরিতে যাচ্ছেন। যাত্রীরা বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিটি যানবাহন বোঝাই হয়ে যাত্রী কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসছেন। অনেক লোকাল বাসের ছাদেও যাত্রী উঠানো হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ সকল যাত্রী পরিবহনে বাড়তি ভাড়া দিয়েও রেহাই পাচ্ছেন না। ঘাটে নেমেই নৌযানে গুণতে হচ্ছে দেড়/দ্বিগুণ ভাড়া। কিছু কিছু স্পীডবোট ও লঞ্চে বাড়তি ভাড়া আদায়ের পরিমান বেশি বলে অভিযোগ করেন অনেক যাত্রী। এখানেই শেষ নয়, নদী পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে তাদের। মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আবির হোসেন বলেন, ‘ফেরিতে যানবাহনের চাপ কম থাকলেও যাত্রী চাপ অনেক বেশি। আমরা অনেক ফেরিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধুমাত্র যাত্রী লোড দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছি। যাত্রী চাপ সামাল দিতে শিমুলিয়া থেকে খালি লঞ্চ ফেরি আনা হচ্ছে।’
×