ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জম্মু ও কাশ্মীরে আংশিক টেলিফোন ও নেট চালু

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে রাশিয়ার চমক

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ১৮ আগস্ট ২০১৯

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে রাশিয়ার চমক

কাশ্মীর সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘের সনদ ও প্রস্তাব অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। ভারত ও পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সঙ্কটটির সমাধান হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছে দেশটি। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার বাতিলের পর শুক্রবার চীনের আহ্বানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক অনানুষ্ঠানিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে। জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে এ আশা ব্যক্ত করে রাশিয়া। ডেকান হেরাল্ড ও এনডিটিভি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রুশ কূটনীতিক দিমিত্রি পলিয়ানস্কি। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে একটি টুইটে দিমিত্রি পলিয়ানস্কি লেখেন, রাশিয়া সব সময়েই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পক্ষে জোর দিয়ে আসছে। আমরা আশা করি কাশ্মীর বিরোধ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করাই শ্রেয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ওই সমাধানের ভিত্তিটি হবে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা এবং জাতিসংঘের চার্টার, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট রেজুলেশন এবং ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ওপর। এভাবে কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিকীকরণে পাকিস্তানকে একরকম সহায়তা করল রাশিয়া। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের পর কাশ্মীর ইস্যুতে এই প্রথমবারের মতো বৈঠক করল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকে অংশ নেয়নি ভারত ও পাকিস্তানের কেউ। এদিকে কাশ্মীর সঙ্কট নিয়ে রাশিয়ার এমন আহ্বান ও বক্তব্যে অবাক হয়েছে মোদি সরকার। এর কারণ ভারতের পুরনো বন্ধু রাশিয়া। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থান বেশ ভালই জানা রাশিয়ার। তারপরও কাশ্মীর সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘ চার্টার ও রেজুলেশন অনুসারে পাকিস্তানের সঙ্গে সমঝোতা করতে রাশিয়া আশা ব্যক্ত করায় তা ভারতকে বিস্মিত করে। কাশ্মীর ইস্যুটি ভারত নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারত নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর বিরোধ উত্থাপনের ক্ষেত্রে সিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণাকে হাতিয়ার করে পাকিস্তানকে ঠেকিয়ে আসছে। জম্মু ও কাশ্মীরে আংশিক টেলিফোন ও নেট চালু ॥ কাশ্মীর উপত্যকায় শনিবার ৫০ হাজারেরর বেশি ল্যান্ডলাইন চালু হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ঐতিহাসিক পদক্ষেপের আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে কাশ্মীরের ফোন লাইনগুলো আংশিকভাবে চালু হলো। জম্মুর পরিস্থিতি এর আগেই অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কাশ্মীরে শনিবার শতাধিক টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মধ্যে সতেরোটি চালু করা হয়। মধ্য কাশ্মীরের বদগাম, সোনামার্গ এবং মনিগাম অঞ্চলে ল্যান্ডলাইন পরিষেবাগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ, টাঙ্গমার্গ, উরি কেরান কর্নাহ এবং তাংধর অঞ্চলে লাইন পুনরায় চালু হয়েছে। শ্রীনগরের, নাগরিকদের বসবাসের স্থান, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা এবং বিমানবন্দর এলাকায় ল্যান্ডলাইনগুলো ফের চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে জম্মু অঞ্চলের পাঁচটি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ পুনরায় চালু করা হয়েছে। এই অঞ্চলের জম্মু, রিয়াসি, সাম্বা, কাঠুয়া এবং উধমপুর জেলাগুলোতে টু জি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরে এসেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের আগে ৪ আগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
×