ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন মিত্ররা বিরক্ত হলেও ট্রাম্প নিরুদ্বিগ্ন

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ১৮ আগস্ট ২০১৯

মার্কিন মিত্ররা বিরক্ত হলেও ট্রাম্প নিরুদ্বিগ্ন

উত্তর কোরিয়ার একটি সম্ভাব্য নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সম্পৃক্ত সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ঘটনা আমেরিকার আঞ্চলিক সহযোগীদের জন্য হুমকির সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এ পরীক্ষার সমালোচনা করেনি, বলা যায়। এমনকি প্রশাসনের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, পিয়ংইয়ং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছে। উত্তর কোরিয়া গত মাসে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে এবং অতি সাম্প্রতিক পরীক্ষাটি চালিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা এটিকে দুইটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা বলে উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্প এ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গুরুত্ব দেননি মোটেই। তিনি এগুলোকে স্বল্পপাল্লার বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন মার্কিন সহযোগী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে তার যে সমঝোতা রয়েছে তার লঙ্ঘন নয় এবং উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই বলে তিনি মনে করেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নতুন ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে আঘাত হানতে আরও যথাযথ ও সম্ভাব্যরূপে শক্তিশালী। সিএনএনের সামরিক বিশ্লেষক ও অবসরপ্রাপ্ত এয়ারফোর্স কর্নেল ফেডরিক লেইটন বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে এ পর্যন্ত ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে এবং সত্যিকারভাবে পরীক্ষাগুলোতে উত্তর কোরিয়ার রকেট কর্মসূচীতে এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন অব্যাহত রয়েছে। এ পরীক্ষাগুলোকে ট্রাম্পের গুরুত্বহীন করে দেখার প্রবণতায় একটা উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে যে, তিনি এ পরীক্ষা চালিয়ে যেতে উত্তর কোরিয়ার প্রতি নীরব অনুমোদন দিচ্ছেন। ট্রাম্প শনিবার রিপোর্টারদের বলেছেন, আমি আবারও বলছি, কোন পরমাণু পরীক্ষা চালানো হয়নি। যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পরীক্ষা চালানো হয়েছে তা সবই স্বল্পপাল্লার, কোনটিই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা নয় এবং কোন দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও নয়। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বৃহস্পতিবার ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, আমাদের সহযোগীরা এ পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে পুরোপুরি উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি যে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়েছে সেটিকে আমরা কেএন টুয়েন্টি থ্রি বলে উল্লেখ করেছি। ক্ষেপণাস্ত্রটির যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে এটি সমগ্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের কয়েকটি অংশে আঘাত হানতে পারে বলে আমরা মনে করি। তিনি বলেন, বিষয়টা অবশ্য আমাদের মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর জন্যও বিপজ্জনক হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রয়েছে এবং জাপানে মোতায়েন রয়েছে আরও ৫০ হাজার সৈন্য। বোল্টন বলেন, এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন। কিন্তু কিম জং উন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন তার লঙ্ঘন নয়। তিনি বলেন, তারা এ উপদ্বীপ সুরক্ষায় নিয়োজিত প্রত্যেকের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন। -সিএনএন
×