ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে শিশুসহ খুন দুই

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ১৮ আগস্ট ২০১৯

কিশোরগঞ্জে শিশুসহ খুন দুই

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১৭ আগস্ট ॥ জেলার হাওড় অধ্যুষিত অষ্টগ্রামে আপন চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ওয়াসিম নামে দুই বছর বয়সী শিশুকে তার চাচা ও চাচাত ভাইয়েরা মিলে জবাই করে হত্যা করেছে। শনিবার সকালে উপজেলার কলমা ডালারকান্দি গ্রামে পৈশাচিক এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত ওয়াসিম ডালারকান্দি গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে। পুলিশ এ ঘটনায় ওই এলাকার আব্দুর রাজ্জাক (৬৫) এবং তার চার ছেলে আলকাছ মিয়া (৩০), সাইফুল (২৫), কাউস (২৩) ও সৃজনকে (২০) আটক করেছে। এছাড়া হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়েছে। অপরদিকে জেলার ইটনায় ফুটবল খেলা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিরোধের জেরে মেরাজ মিয়া (৫০) নামে ভূমি অফিসের পিয়নকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর উপজেলার এলংজুরী বাজারে এই হত্যাকা-ের ঘটনাটি ঘটে। নিহত মেরাজ মিয়া এলংজুরী গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, অষ্টগ্রামের ডালারকান্দি গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার সঙ্গে একই বাড়ির আপন চাচাত ভাই আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে শনিবার সকালে শিশু ওয়াসিমকে ঘরে একা পেয়ে আব্দুর রাজ্জাক ও তার ছেলেরা গরু কাটার ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। কিছুক্ষণ পর বাবা-মা ঘরে ফিরে শিশুসন্তানের গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক ও তার চার ছেলেসহ পাঁচজনকে আটক করাসহ হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করে পুলিশ। অন্যদিকে ইটনায় একটি ফুটবল খেলাকে নিয়ে এলংজুরী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়ার পক্ষের লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ মিয়ার পক্ষের লোকজনের ঝগড়া হয়। এ বিষয়ে শুক্রবার সকালে উভয়পক্ষ এলংজুরী বাজারে সালিশ বসে। এ সময় সিরাজ মেম্বারের লোকজনের হাতে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়া লাঞ্ছিত হন। সাতক্ষীরায় গৃহবধূ স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা থেকে জানান, মাত্র এক বছর সংসার জীবনের পর স্বামীর বাড়িতেই উদ্ধার হলো গৃহবধূ রাবেয়া খাতুনের ঝুলন্ত লাশ। তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের বাবা। তবে রাবেয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছে সে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ স্বামী রনি মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামে স্বামীর বাড়ির শয়নকক্ষের আড়ায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় রাবেয়া খাতুনের (১৯) লাশ দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। রাবেয়া খাতুন সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে। রাবেয়ার পিতা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এক বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে হয় একই উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের রনি মোল্লার সঙ্গে। রাবেয়ার বাবার দাবি বিয়ের পর থেকে রাবেয়ার ওপর যৌতুকের কারণে নির্যাতন চালানো হতো। শুক্রবার রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে রনি মোল্লা তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে তার লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে প্রচার দেয়া হয় রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে। সদর থানার উপপরিদর্শক কবির হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী রনিকে আটক করা হয়েছে। পলাশবাড়ীতে ভ্যানচালকের নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের ঝালিঙ্গী গ্রামের আব্দুল জব্বার মিয়া (৫৫) নামে এক নিখোঁজ রিক্সা-ভ্যানচালকের লাশ জমির একটি ড্রেন থেকে শনিবার বিকেলে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার ঠুটিয়াপাকুর লিচুবাগানের পাশে সেচ ড্রেনের মধ্য থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। জব্বার মিয়া মহদীপুর ইউনিয়নের ঝালিঙ্গী গ্রামের নসিব উদ্দিনের ছেলে। পলাশবাড়ী থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, জব্বার মিয়া ভাড়ায় রিক্সাভ্যান চালাত। গত বৃহস্পতিবার তিনি নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পায়নি। শনিবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন ঠুটিয়াপাকুর লিচুরবাগানের পাশে জমিতে পানি সরবরাহের ড্রেনে নিখোঁজ জব্বার মিয়ার লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
×