ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নওগাঁয় সংখ্যালঘুদের জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৮ আগস্ট ২০১৯

নওগাঁয় সংখ্যালঘুদের জমি দখলের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের রেকর্ডভুক্ত এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কাজে ব্যবহারের জন্য দেবস্থানের জমি জবরদখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। ইতোমধ্যেই মহলটি গ্রামের সংখ্যালঘুদের জমিতে লাগানো গাছপালা কেটে সাবাড় করেছে। এসময় স্থানীয় হিন্দুরা বাধা দিলে তাদের মারপিট করে দেশ ছাড়ানোর হুমকি দিয়েছে মহলটি। এব্যাপারে স্থানীয় ইউএনও ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেও গ্রামের হিন্দুরা এর কোন সমাধান পাচ্ছেননা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মনোহরপুর মৌজার হাল ১২০ নং আরএস খতিয়ান মুলে ব্যক্তিমালিকানা সূত্রে ২৫০, ৩৫২, ৩৫৩, ৫৬৫, ৫৬৬ দাগের মধ্যে ৩৫২, ৩৫৩, ৫৬৫ ও ৫৬৬ নং দাগের মন্তব্য কলামে হিন্দু জনসাধারনের ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু উক্ত খতিয়ানের ২৫০ নং দাগটি গড়লায়েক পতিত এবং মন্তব্য কলাম ফাঁকা থাকায় রেকর্ড অনুসারে রেকর্ডিয় মালিকগন ফসল ফলান এবং কিছু গাছ গাছালী রোপন করেন। বর্তমানে ওই জমিতে ১ শতক জায়গার ওপর একটি শহীদ মিনার এবং ১ শতক জমিতে একটি দেবস্থান রয়েছে। সম্প্রতি হিন্দুদের তফশীলভুক্ত জমিতে স্থানীয় এলজিইডি প্রাচীর নির্মান শুরু করলে গ্রামের হিন্দুরা বাধা দেয়। এতে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে জমির গাছ-গাছালী কেটে জবরদখলে মরিয়া হয়ে ওঠেছে বলে অভিযোগ গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের। এব্যাপারে ইউএনও অফিসে বসেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান তারা। আজ রবিবার এব্যাপারে ভালাইন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আলী মন্ডল বাবুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন সংখ্যালঘুর জমি জবরদখল করতে যাইনি। বিতর্কিত ওই জমি হিন্দুদের এটা সঠিক। শহীদ মিনার বা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে এলজিইডি। স্থানীয় ইউএনও ও এসি ল্যান্ডের দূরদর্শিতার অভাবে এমন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে আমি চেয়ারম্যান বা গ্রামবাসী কোনভাবেই দায়ী নয়। যা করার সরকারীভাবেই করেছে। তবে বর্তমানে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
×