ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মীর শান্ত রাখতে কেন্দ্রের পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৮:০৮, ১৯ আগস্ট ২০১৯

 কাশ্মীর শান্ত রাখতে  কেন্দ্রের পরিকল্পনা

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত উপত্যকা। অশান্তি যাতে না ছড়ায় তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। কখনও ১৪৪ ধারা জারি করে, কখনও বা ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেটাই বর্তমানে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। এনডিটিভি। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ভাবা হয়েছে যারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে অশান্তি পাকাতে পারে, তাদের দমন করা। এই ধরনের লোকদের বলা হয় ‘মুভার্স এ্যান্ড শেকার্স’। এরা মূলত মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের কাছে খবর জোগাড় করে ও মানুষের মধ্যে থেকেই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করে। এদের দেখে মনে হয় নিরীহ, অথচ তলায় তলায় ঝামেলা পাকায় তারা। মূলত হুরিয়ত ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের এই গোষ্ঠীতে ফেলা হয়েছে। যারা এই ধরনের কাজ করে তাদের আটক করে নিজেদের হেফাজতে কিংবা গৃহবন্দী করে রাখতে চাইছে কেন্দ্র। দ্বিতীয়ত, যারা সেনা ও পুলিশের ওপর পাথর ছোড়ে তাদের আটকানো। এই কাজ মূলত কাশ্মীরী তরুণ ও যুবকদের দিয়ে করানো হয়। জানানো হয়েছে, এই যুবকদের সঙ্গে মিশে তাদের পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা হবে। তারপর তাদের মূলস্রোতে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে। দরকার পড়লে পরিবারকে দিয়ে বন্ডে সই করে নেয়া হতে পারে যে ভবিষ্যতে তাদের পরিবারের ছেলেরা এই ধরনের কাজ থেকে দূরে থাকবে। তৃতীয় পদক্ষেপ জঙ্গী দমন। কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমন করতে লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) সেনা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়াও উপত্যকার অভ্যন্তরেও বাড়ানো হবে সেনা। যাতে কোনভাবেই জঙ্গীরা নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণ করতে না পারে, সে দিকে তৎপর থাকবে সেনা। চতুর্থ পদক্ষেপ হলো ধর্মীয় নেতাদের প্রভাব কমানো। উপত্যকায় এমন অনেক ধর্মগুরু রয়েছেন, যারা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে অশান্তি পাকায়। এই ধরনের ধর্মীয় নেতাদেও আটক করারও পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র।
×