ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা কর্মশালায় মিলন কান্তি দে

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ১৯ আগস্ট ২০১৯

 রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা কর্মশালায় মিলন কান্তি দে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী যাত্রাবিষয়ক কর্মশালা আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। এ কর্মশালার মুখ্য প্রশিক্ষক হিসেবে যোগদানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন বিশিষ্ট যাত্রা ব্যক্তিত্ব, অভিনেতা, নির্দেশক, সংগঠক এবং বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দে। পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান রহমান রাজু তাকে এ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ কর্মশালায় অংশ নেবেন দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে মিলন কান্তি দে বলেন, গত মার্চ মাসে এক অনুষ্ঠানে রাজশাহী যাওয়া হয়। তখনই এ কর্মশালা সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রহমান রাজু। পরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আজ সোমবার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে। এ কর্মশালায় তত্ত্বীয় ও প্রায়োগিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন মিলন কান্তি দে। বিষয়সূচীতে থাকছে- যাত্রাপালার জন্মকথা, ক্রমবিকাশ, পাঁচ শ’ বছরের যাত্রার স্মরণীয় ঘটনা, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক যাত্রার প্রেক্ষাপট, যাত্রাভিনয়ের কলাকৌশল, স্বর-প্রক্ষেপণ প্রক্রিয়া, যাত্রামঞ্চে প্রবেশ-প্রস্থান, ঐতিহাসিক ও সামাজিক পালায় সংলাপ প্রক্ষেপণের ধরন এবং যাত্রা ও মঞ্চনাটকের আঙ্গিকগত ব্যবধান ইত্যাদি। প্রসঙ্গত অনেক আগে থেকেই মিলন কান্তি দে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তথা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন নাট্যদলে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। ২০০৪ সালে প্রথম ড. সেলিম আল দীনের তত্ত্বাবধানে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ২০০৮ ও ২০১৩ সালে ড. ইসরাফিল শাহীনের তত্ত্বাবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ২০১৬ সালে কামালউদ্দিন কবীরের তত্ত্বাবধানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক বিভাগে তিনি প্রশিক্ষক ও পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। মিলন কান্তি দে বলেন, যাত্রা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ লক্ষ্য করেছি। তারা বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে থাকেন। আমি মৃত্তিকা সংলগ্ন একটি শিল্পের প্রতিনিধি হিসেবে যখন সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক বিভাগে প্রশিক্ষণ দিতে যাই তখন গর্বে বুকটা দশ হাত ফুলে ওঠে। যার হাত ধরে আমি প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে প্রবেশ করেছি সেই নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনকে তার জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
×