ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত

তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে লঙ্কাকান্ড ॥ সংঘর্ষে আহত ২২

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১৯ আগস্ট ২০১৯

তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালে লঙ্কাকান্ড ॥ সংঘর্ষে আহত ২২

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তুচ্ছ বিষয় নিয়ে লঙ্কাকান্ড ঘটে গেছে ঢাকা মেডিক্যালে (ঢামেক)। কর্মচারীদের দুই গ্রুপ ও নার্সদের মধ্যকার এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ২২। রবিবার বেলা সাড়ে বারোটায় নতুন ভবনের দোতলার প্যাথলজি বিভাগে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে চিকিৎসাসেবা মারাত্মক বিঘ্নিত হয়েছে। তবে আহত কর্মচারীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত একটি রিপোর্ট সংগ্রহ নিয়ে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ডিউটিরত ব্রাদার মোঃ রাসেল তার এক আত্মীয়ের রিপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। ঘটনা সম্পর্কে তিনি পরে জানান, আমার এক আত্মীয়র রক্তের রিপোর্ট আনতে আমি প্যাথলজি বিভাগে যাই। নিয়ম অনুযায়ী আমি সেখানে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। অনেকক্ষণ লাইনে থাকার পরও রিপোর্ট না পেয়ে আমি রিপোর্ট প্রদানকারী কর্মকর্তাকে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাই। তখন ওই কর্মকর্তা আমাকে জানান, আপনি ব্রাদার হলেই আপনার রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দেব, এমন কোন কথা আছে? এর পরপরই তাদের মধ্যে শুরু হয় বাগবিতন্ডা। একপর্যায়ে রিপোর্ট প্রদানকারী ওই ব্যক্তি ব্রাদার রাসেলের কলার ধরে মারধর করে। রাসেলের সঙ্গে থাকা আরও তিনজন এর প্রতিবাদ করলে প্যাথলজিতে থাকা অপর স্টাফরা মিলে তিনজনকেই মারধর করে বলে অভিযোগ করেন রাসেল। এ খবর শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। তিনি হ্যান্ড মাইকে সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে ‘প্যাথলজি বিভাগে তিন নার্সকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে’ এমন খবর হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়লে অন্য নার্সরা মিছিল করে প্যাথলজি বিভাগে যায়। সে সময় প্যাথলজি বিভাগের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। ভেতরে দু’পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। প্যাথলজি বিভাগে দায়িত্বরত রুবেল নামে এক স্টাফ বলেন, নতুন নার্সদের আদবকায়দা বলতে কিছুই নেই। তারা কয়েকজন প্যাথলজিতে এসেই মস্তানি শুরু করে। বলে, আমাদের রিপোর্ট দেন, রিপোর্ট কই? এখনও আমাদের রিপোর্ট পাচ্ছি না কেন- আমরা হাসপাতালের নার্স। তাদের চেঁচামেচির এক পর্যায়ে বিভাগীয় প্রধান ডাঃ আজিজ বেরিয়ে এলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে নতুন নার্সরা। তখনই সূত্রপাত ঘটে সংঘর্ষের। এ বিষয়ে ডাঃ আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি। একপর্যায়ে তারা আমার ওপরই চড়াও হয়। হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন- ঢাকা মেডিক্যালে চতুর্থ শ্রেণী ও টেকনোলজিস্টরা একদিকে, অন্যদিকে নার্সরা। এই দুই গ্রুপ এসে প্যাথলজি বিভাগে হাতাহাতি ও মারামারি করেছে।
×