ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মণিরামপুরে সরকারি জমি দখল করে মৎস্যঘের নির্মাণ

প্রকাশিত: ০২:৩৪, ১৯ আগস্ট ২০১৯

মণিরামপুরে সরকারি জমি দখল করে মৎস্যঘের নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের মণিরামপুরে সরকারি জমি দখল করে মৎস্যঘের নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এই ঘের নির্মাণের কারণে আশপাশের ফসলী জমি, অর্ধশত বসত বাড়ি ও বেশ কয়েকটি পানের বরজ চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এলাকার ভূক্তভোগীরা জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেতে মৎস্যঘের উচ্ছেদের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। অভিযোগসূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের সুবোলকাটি এবং পার্শ্ববর্তী হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ভোমরদাহ গ্রামের মধ্যবর্তী ১২২ সুবোলকাটি মৌজায় ১ নং খতিয়ানে প্রায় এক একর সরকারি খাজ জমি রয়েছে। ওই জমির আশপাশে ব্যক্তি মালিকানাধিন ফসলি জমি এবং প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে সুবোলকাটি গ্রামের মৃত আফসার আলী গাজীর ছেলে কেশবপুর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক রফিকুল ইসলাম এবং মৃত ইনছার আলী গাজীর ছেলে শফিক গাজী ও সহিদুল গাজী সম্প্রতি কাঁচা রাস্তার পাশে সরকারি ৬৩ শতক জমি দখলের পর সেখানে একটি মৎস্যঘের নির্মাণ করেন। এ ছাড়াও ঘেরের চারপাশে উচুকরে বেড়িবাঁধও নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা বর্তমান দুরুহ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ঘেরের আশপাশের ফসলি জমি ও প্রায় অর্ধশত বসতবাড়িতে চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার আশংকা দেখা দিয়েছে। যে কারণে ওই সব ভূক্তভোগীদের মধ্যে এ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবদুর রশিদ, মাসুদুল ইসলাম, আবু বক্কার সিদ্দিকী, আবদুর রাজ্জাক, মফিজুর রহমান, ফিরোজ হোসেন, আছাদুল ইসলাম সহ এলাকার ভূক্তভোগীরা জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেতে অবৈধ মৎস্যঘের উচ্ছেদের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেন। জানতে চাইলে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে রফিকুল ইসলাম জমি দখলের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, শফিক গাজী এবং সহিদুল গাজীর পিতা ইনছার আলী সরকারের থেকে এক’শ বছরের জন্য ওই জমি বন্দোবস্ত নেন। সেই সূত্র ধরেই ওই জমিতে মৎস্যঘের নয় একটি পুকুর খনন করা হয়েছে। ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ সহকারি ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেওয়ার কোন কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
×