ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুন্সীগঞ্জে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ

প্রকাশিত: ১০:২৬, ২০ আগস্ট ২০১৯

 মুন্সীগঞ্জে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে স্ত্রী (১৯) গণধর্ষণে আটককৃত ধর্ষক সোহেল (২৩) সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। সোমবার মুন্সীগঞ্জ ১ নং আমলি আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হক তার খাস কমড়ায় এই জবানবন্দী রেকর্ড করেন। পুলিশ জানায়, এই জবানবন্দীতে পালাক্রমে তিনজনের ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণের কথা সোহেল জবানবন্দীতে উল্লেখ করেছে। পালিয়ে যাওয়া অপর দুই ধর্ষক হচ্ছে নাসির উদ্দিন (২৪) ও শামীম (২৩)। রবিবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটায়। সিরাজদিখান থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন জানান, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের অদূরে পলাশপুর গ্রামে ডিসি প্রজেক্ট নামে পরিচিত ‘রজতরেখা’ নামের একটি প্রকল্প এলাকায় স্বামী-স্ত্রী ঘুরতে এসেছিলেন। আগে এখানে একটি রিসোর্ট ছিল। কিন্তু এটি এখন নেই। রেলওয়ে জমিটির বড় একটি অংশ অধিগ্রহণ করায় রিসোর্টটি আর নেই। কিন্তু এই দম্পতির তা জানা ছিল না। তাই বেড়াতে এসেছিলেন। কিন্তু রিসোর্ট না থাকলেও ধলেশ্বরী নদীর তীরের স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আকৃষ্ট করে। তাই নদী তীরের গোল ঘরের ছাউনি সরিয়ে নিলেও পাকা উঁচু স্থানটিতে বসে স্বামী-স্ত্রী গল্প করছিলেন। বর্ষাকাল আশপাশে লোকজনের তেমন সমাগম নেই। এই সুযোগে তিন যুবক এই ঘটনা ঘটায়। তিনজন মিলে স্বামীকে মারধরের পর দু’জন স্বামীকে আটকে রাখে। আর প্রথমে একজন ধর্ষণ করে। পরে আরেকজন গিয়ে ধর্ষণ করে। এভাবেই স্বামীকে আটকে রেখে তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একই সঙ্গে এই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে। এক পর্যায়ে কৌশলে স্বামী ওদের হাত থেকে ছুটে গিয়ে দৌড়ে জনসম্মুখে চলে আসে এবং চিৎকার শুরু করে। পরে আশপাশের লোকজন নিয়ে পাশের ঝোপ থেকে স্ত্রীকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সময় সোহেলকে আটকে ফেলে এবং তার মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্রও পুলিশ জব্দ করে। কেরানীগঞ্জ উপজেলার বাঘাপুর গ্রামের ওসমান মিয়ার ছেলে সোহেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এসব ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে ধর্ষিতা এই গৃহবধূর (১৯) সোমবার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। ছয় মাস আগে এই দম্পতির বিয়ে হয়। স্বামী অটোচালক। তার বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। গৃহবধূর বাড়ি স্থানীয় চান্দেরচর গ্রামে। আর স্বামীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী কয়রাখোলা গ্রামে। স্বামীবাড়ি থেকেই ঈদের পরে ঘুরতে বেড় হয়েছিলেন এই দম্পতি। ওসি জানান, বাকি দুই ধর্ষককে গ্রেফতার বিশেষ অভিযান চলছে। পালিয়ে যাওয়া দুই ধর্ষকের বাড়িই ঘটনাস্থল পলাশপুর গ্রামে। এদিকে দন্ডবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড শেষে আদালত সোহেলকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
×