ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খাদ্য মজুদ রেকর্ড ॥ আগের চেয়ে আড়াই লাখ টন বেশি

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২১ আগস্ট ২০১৯

খাদ্য মজুদ রেকর্ড ॥ আগের চেয়ে আড়াই লাখ টন বেশি

তপন বিশ্বাস ॥ এবার রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুদ গড়ে উঠেছে। আগের রেকর্ডের চেয়ে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন বেশি। চাল ও গম মিলে খাদ্য গুদামে বর্তমানে মজুদ রয়েছে ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৬ মেট্রিক টন। যা খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারকে স্বস্তিজনক অবস্থায় নিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। এ লক্ষ্যে খাদ্য মজুদের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। এই পরিমাণ আরও বাড়বে। সংগ্রহ অভিযান এখনও চলছে। তিনি বলেন, সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় অঙ্গীকার। তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে বর্তমানে খাদ্য মজুদের পরিমাণ ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৬ মেট্রিক টন । এর মধ্যে গুদামে চাল রয়েছে ১৫ লাখ ২০ হাজার ৪২২ মেট্রিক টন। আর গম মজুদের পরিমাণ ৩ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৪ মেট্রিক টন। খাদ্য মজুদের এই পরিমাণ বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। এর আগে সর্বোচ্চ মজুদ ছিল ১৬ লাখ ৯ হাজার ৩৬৮ মেট্রিক টন। প্রত্যেকটি গুদাম প্রায় পূর্ণ। আগের বছরের তুলনায় এখন মজুদ তিন লাখ টনেরও বেশি। ২০১৫ সালের এই মজুদ ছিল তখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। এই রেকর্ড ভেঙ্গে মজুদে এবার নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে খাদ্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মুজদ বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, খাদ্য নিয়ে দেশে কোন কারসাজি করার সুযোগ দেয়া হবে না। এ লক্ষ্যে আমরা পর্যাপ্ত মজুদ রাখতে চাই। এবার বোরে মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে খাদ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ধান চাল মিলিয়ে মোট ১৪ লাখ মেট্রিক টন। বিগত ১ মে থেকে শুরু হয় বোরো সংগ্রহ অভিযান। এবার সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ধান চাল মিলিয়ে মোট ১৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল সাড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন এবং ধান ৪ লাখ মেট্রিক টন। প্রথমে ২ লাখ মেট্রিক টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। পরে তা বৃদ্ধি করে আরও ২ লাখ টন কেনার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতি কেজি সিদ্ধ চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩৬ টাকা এবং প্রতি কেজি ধান সংগ্রহ মূল্য ২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ১ মে থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু করে সংগ্রহ অভিযানের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এতে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে মোট খাদ্য মজুদের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ২০ লাখ মেট্রিক টন। এছাড়া আরও কিছু গুদাম নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলোর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে ধারণ ক্ষমতা আরও এক লাখ মেট্রিক টন বাড়বে। সে ক্ষেত্রে দেশে খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে ২১ লাখ মেট্রিক টনে। সরকারী হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে সরু চালের বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৪৮ টাকা থেকে ৫২ টাকা, মাঝারি চাল কেজি প্রতি ৩৬ টাকা থেকে ৪০ টাকা এবং মোট চাল ৩২ থেকে ৩৪ টাকা। বর্তমানে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
×