ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মীরী যুবকদের তুলে নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৩২, ২১ আগস্ট ২০১৯

কাশ্মীরী যুবকদের তুলে নেয়ার অভিযোগ

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় উপত্যকায় প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলছে। এর মধ্যে সোমবার কিছু স্কুল খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যেসব স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে। যেসব স্কুল খুলেছে তাতে সোমবার সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিবিসি। কাশ্মীরী রাজনীতিবিদ শেহলা রশিদ দিল্লীতে একের পর এক টুইট করে বলেছেন, সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা রাতে বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে তরুণ যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তারা বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর করছে, খাবার ফেলে দিচ্ছে বা চালের বস্তায় তেল ঢেলে দিচ্ছে এবং শেষে বাড়ির যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও লিখেছেন, সোপিয়ানের একটি আর্মি ক্যাম্পে চারজন যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে জেরা ও নির্যাতন করার সময় তাদের সামনে মাইক্রোফোন ধরে রাখা হয়েছিল, যাতে তাদের চিৎকারের আওয়াজ শুনে গোটা এলাকার মানুষ ভয় পায়। তবে সোপিয়ানের আর্মি ক্যাম্পে কাশ্মীরী যুবকদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তার অডিও মহল্লায় শোনানো হয়েছে বলেও শেহলা রশিদ দাবি করেন। দু’সপ্তাহ আগে ভারতীয় পার্লামেন্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পর থেকে সেখানে এ যাবত ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে তা নিয়ে মোদি সরকার আগাগোড়া অস্পষ্টতা বজায় রেখেছে। আবার ভারতের সরকারী সূত্রও নির্দিষ্টভাবে কোন সংখ্যা জানাতে অস্বীকার করেছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এ সংখ্যা চার হাজারের কম হবে না। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মীনাক্ষি গাঙ্গুলি বলেন, এমন পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, সরকার বলছে যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা খুব অল্প কিছু লোককে আটক করেছে, আমরা কিন্তু বলব আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তারা দায়িত্ব পালন করছে না। আমরা এ নিয়ে খুব শীঘ্রই বিবৃতি দেব। শ্রীনগরের লেখক ও গবেষক বশির আসাদ বলেছেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর লোককে আটক করা হচ্ছে এবং এখানে মূলত নিশানা করা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ও ভাবধারার লোকজনকে।’ প্রসঙ্গত, কাশ্মীর একটি বিরোধপূর্ণ ভূখ- যার দুটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারত শাসিত অংশ জম্মু ও কাশ্মীর এতদিন বিশেষ মর্যাদা পেলেও সম্প্রতি তাকে দু’ভাগ করে রাজ্যের মর্যাদায় নামিয়ে আনা হয়েছে। অংশ দুটিই এখন সরাসরি দিল্লীর শাসনে রয়েছে। বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে কেন্দ্র করে মূলত কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
×