ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জুলাই মাসের রফতানিতে সাড়ে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ২১ আগস্ট ২০১৯

জুলাই মাসের রফতানিতে সাড়ে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পণ্য রফতানিতে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই মাসে ৩৮৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) মঙ্গলবার পণ্য রফতানি আয়ের যে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, তৈরি পোশাক রফতানিতে ভাল প্রবৃদ্ধি হওয়ার কারণে সামগ্রিক পণ্য রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত মাসে ৩৩১ কোটি ৪ লাখ ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষ রফতানি আয় অর্জিত হয়েছে ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ৪ হাজার ডলার। চলতি অর্থবছর প্রথম মাস জুলাইতে আয় এসেছে ৩৮৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই মাসে রফতানি আয় অর্জিত হয়েছিল ৩৫৮ কোটি ১৪ লাখ ৮ হাজার ডলার। সে তুলনায় গত অর্থবছরের জুলাই মাসের তুলনায় রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। জানা যায়, দেশের রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাত থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রফতানি আয় এসেছিল ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই মাসে তৈরি পোশাক খাতে পণ্য রফতানি থেকে আয় অর্জিত হয়েছে ৩৩১ কোটি ৪ লাখ ডলার। সে হিসেবে এ খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। জুলাই মাসে নিট পোশাক রফতানি থেকে আয় এসেছে ১৬৭ কোটি ৮১ লাখ ৬ হাজার ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ওভেন পোশাক রফতানি করে আয় হয়েছে ১৬৩ কোটি ২৩ লাখ ২ হাজার ডলার। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই মাসে ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে। এ খাত থেকে আয় এসেছে ১০ কোটি ৬১ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। অথচ গত অর্থবছর জুড়েই চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সম্প্রতি দেশের বাজারে গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হয়েছে কাঁচা চামড়া। এদিকে গত জুলাই মাস শেষে প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। গত জুলাই মাসে হোম টেক্সটাইল খাতে প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়লে ও লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমেছে। এ সময় আয় এসেছে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবরের জুলাই মাস শেষে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ে কিছুটা বেড়েছে। একই সঙ্গে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা। এ সময় এ খাত থেকে আয় এসেছে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই মাস শেষে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা কোনটাই অর্জিত হয়নি। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৭ কোটি ৮১ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় কমেছে ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে ২৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
×