ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাতক্ষীরায় পানি নিষ্কাশনের বাধা অপসারণ দাবি

প্রকাশিত: ১২:০২, ২১ আগস্ট ২০১৯

সাতক্ষীরায় পানি নিষ্কাশনের বাধা অপসারণ দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ পানি নিষ্কাশনের বিলগুলো দখল করে অবৈধভাবে চিংড়ি চাষ করা হচ্ছে। বিলের মধ্যে থাকা পানি নিষ্কাশনের খালগুলো দখল করে ঘেরের বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক স্থানে সড়কের নিচে থাকা কালভার্টগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। নবনির্মিত সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়কের দু’পাশে থাকা হুকুমদখলকৃত সরকারী জমিও কোন কোন স্থানে ঘের মালিকরা তাদের ঘেরের সঙ্গে দখল করে নিয়েছে। অনেক স্থানে পানি নিষ্কাশনের খাল-বিল মাছ চাষীদের স্বার্থে নেট-পাটা দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আর এ কারণে মাত্র একদিনের টানা ৫ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের কারণে সাতক্ষীরা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আছে। ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। বহু বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ও জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। অনেকের ঘরের মধ্যে পানি উঠেছে। পুনরায় বৃষ্টি হলে বহু মানুষ ঘরছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় পানি নিষ্কাশনের সকল প্রতিবন্ধকতা জরুরীভাবে অপসারণের দাবি জানিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের নিকট জমা দেয়া স্মারকলিপিতে এই দাবি পানি নিষ্কাশনের সকল বাধা অপসারণসহ ৯ দফা দাবি জানানো হয়েছে। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, লোকালয়ের এসব অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অনেকেই রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় সাধারণ মানুষ কথা বলতে পারছে না। আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে পানি নিষ্কাশনের কার্যকর কোন উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না। নাগরিক কমিটি জেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে আরও ৯ দফা দাবি জানিয়েছে। জেলার সকল নদী-খালের জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ যতদূর সম্ভব পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সকল বাধা অপসারণ করাসহ ডিএস -সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদী-খালের সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে হবে। উদ্ধার করা জমি নতুন করে ইজারা না দিয়ে পূর্বে দেয়া সকল ইজারা বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে। নতুন করে কোন অপ্রয়োজনীয় স্লুইস গেট ও ক্লোজার নির্মাণ না করে ইছামতি নদীর সঙ্গে মরিচ্চাপ- খোলপেটুয়া নদীর সংযোগ স্থাপনকারী কুলিয়ার লাবণ্যবতি ও পারুলিয়ার সাপমারা খাল সংস্কার ও খননের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দু’পাশের স্লুইস গেট অপসারণ করে জোয়ার-ভাটা চালু করতে হবে। সাতক্ষীরা শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত প্রাণ সায়র খালের স্বাভাবিক প্রবাহ চালু করতে বেতনা ও মরিচ্চাপের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। সরকারী রাস্তা ও নদীর বেড়িবাঁধকে ঘেরের বাঁধ হিসেবে ব্যবহার বে-আইনী ঘোষণার পাশাপাশি নদী খালের সকল নেট-পাটা অপসারণ করতে হবে।
×