ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার উদ্যোগ নেবে

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২১ আগস্ট ২০১৯

গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার উদ্যোগ নেবে

অনলাইন ডেস্ক ॥ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার উদ্যোগ নেবে । আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ) এ সভার আয়োজন করে। অসুস্থতার কারণে মন্ত্রী কথা বলতে না পারায় তার পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য তুলে দেওয়া হয়। এতে, ২১ আগস্ট নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইফুল আলম বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। পাকিস্তানের জন্ম ১৪ আগস্ট। সেই থেকেই শুরু বাঙালি জাতিকে দমিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র। অনেকগুলো আগস্ট দেখেছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ১৭ আগস্ট বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালানো হয়। সবশেষ ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চালানো হয়। ১৯৪৭ সালে যে ষড়যন্ত্র শুরু, তা এখনো আছে। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। একাত্তরের পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রে বঙ্গমাতাসহ ২৬ জনকে হারিয়েছি। এ গ্লানি, এ লজ্জা আজও ভুলতে পারি না। এ ঘটনা আজও আমাদের কলঙ্কিত করে রেখেছে। মো. সাইফুল আলম বলেন, ’৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিচার চাই। ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। সম্পূর্ণ বিচার ছাড়া ওই শক্তিকে নিঃশেষ করা যাবে না। এসব হত্যাকাণ্ড রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছিল। এতে অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করে বিচার করা হোক। যেদিন বাংলার মাটিতে এসব হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিচার হবে, সেদিন বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। আমাদের গ্লানিও কিছুটা কমবে। বিজেআরএফ সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ উপজেলা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার প্রমুখ।
×