ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

২২ আগস্ট, ১৯৭১;###;শাহাব উদ্দিন মাহমুদ

সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ বিপ্লবী

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ২২ আগস্ট ২০১৯

সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ বিপ্লবী

১৯৭১ সালের ২২ আগস্ট দিনটি ছিল রবিবার। ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল পাকসেনাদের একটি দলকে সোনাগাজীর রাস্তায় এন্টি-ট্যাঙ্ক মাইন পেতে এ্যামবুশ করে। মাইনের আঘাতে পাকসেনাদের তিনটি ট্রাক ধ্বংস হয় এবং সেই সঙ্গে ২০জন পাকসৈন্য নিহত হয়। এ ছাড়াও এ্যামবুশ দলের গুলিতে প্রায় ৪০ জন পাকসেনা ও রাজাকার হতাহত হয়। একঘণ্টা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ অবস্থান পরিত্যাগ করে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। সুবেদার মেবোসসারুল ইসলামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল চারঘাট থানার মীরগঞ্জ বিওপি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত আক্রমণে বিওপিতে অবস্থানরত সকল পাকসেনা নিহত হয়। পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, জনগণ চায় পিপলস পার্টির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক। গফরগাঁও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজাকার বাহিনীতে দশ দিনের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষ করে সশস্ত্র অবস্থায় মিছিল করে। সাবেক মন্ত্রী আজমল আলী চৌধুরী সিলেটে বলেন, সিলেট রেফারেন্ডামের মাধ্যমে পাকিস্তানে যোগদান করেছে। কাজেই পাকিস্তানবিরোধী হিন্দুস্তানী চক্রান্ত নস্যাৎ করে পাকিস্তানের অখ-তা বজায় রাখা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। রাজশাহী ৭ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সাব- সেক্টরের রাজশাহী সদর উপজেলার গেরিলা লিডার সাফিকুর রহমান রাজার নেতৃত্বে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজশাহী শহর ও জেলার বিভিন্ন থানায় গেরিলা যুদ্ধ করার লক্ষ্যে পবা এলাকা দিয়ে প্রবেশ করেন। এই দিন তারা গোদাগাড়ী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রোডের ওপরে অভয়া ব্রিজে অপারেশন চালান। রূপগঞ্জের একটি গেরিলা দল রাতে নরসিংদী এবং ঝিনারদি রেলস্টেশনের মাঝে রেল লাইনের নিচে মাইন পুঁতে রাখে। রাতে একটি ট্রেন দুটি বগিসহ সেখানে দিয়ে চলে যায়। ট্রেন এবং বগি দুটি চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই মাইনটি বিস্ফোরিত হয়। এতে ট্রেনটির ক্ষতি না হলেও রেল লাইনের অনেকখানি ধ্বংস হয়। বৈদ্যেরবাজার থানার গেরিলা দল সোনারগাঁও এবং সিএন্ডবি রোডের অনেক জায়গায় মাইন পুঁতে রাখে। মুক্তিফৌজের গেরিলারা ঢাকার সূত্রাপুর থানা আক্রমণ চালিয়ে দু’জন পাকসেনাকে হত্যা করে। সূত্রাপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টর এবং ওসি গুরুতরভাবে আহত হয়। ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরায় মুক্তিবাহিনী সীমান্ত এলাকার দুটি পাকঘাঁটি দখল করে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে। ঘাঁটি দুটি হলো-কাকডাঙ্গা ও বৈকারী। সেখান থেকে মুক্তিবাহিনী প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত কথিকামালা বিশ্বজনমত অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, লন্ডনের ‘ ‘ডেইলী টেলিগ্রাফ’ পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে যে, পশ্চিম পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের সেক্রেটারি ইতোমধ্যেই তেহরান গিয়ে পৌঁছেছেন। সেখানে ইরানের উদ্যোগে তার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের গোপন সাক্ষাতকারের আয়োজন হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচ- আক্রমণের মুখে জল্লাদ ইয়াহিয়ার ভাড়াটিয়া বাহিনী আজ দিশেহারা। প্রতিদিন ওরা মরছে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। আর সেই শূন্য স্থান পূর্ণ করতে মাত্র কয়দিন আগে নতুন করে এক ডিভিশন সৈন্য আমদানি করা হয়েছে বাংলাদেশে। আমেরিকা থেকে প্রচুর অস্ত্র আসছে, চীন থেকে সামরিক সরঞ্জাম আসছে, মার্কিন বিশেষজ্ঞ এসেছে। এমন কি জর্দান থেকে ও লোক ভাড়া করে আনা হয়েছে বাংলাদেশের বীর যোদ্ধাদের মোকাবেলা করার জন্য। কিন্তু তবু অবস্থার উন্নতি হয়নি-পায়ের তলা থেকে দ্রুত মাটি সরে যাচ্ছে ইয়াহিয়ার। তবু শেষ চেষ্টা করছে সে। সাপ্তাহিক মুক্তিযুদ্ধ পত্রিকায় ‘মুক্তিবাহিনীর তৎপরতা’ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, খুলনায় মুক্তিফৌজের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন কোন জায়গাই নেই যে, যা মুক্তিফৌজের দুঃসাহসী গেরিলাদের অগম্য! তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ খুলনা শহরে সদর ডাক বাংলোতে তথাকথিত শান্তি কমিটির বৈঠকে বোমা বিস্ফোরণ। মুক্তিযোদ্ধারা ইয়াহিয়ার দালালদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় নিরাপদে পালিয়ে যায়। পরে পাক দস্যুসেনারা এসে ডাক বাংলোর আশপাশে ব্যাপক তল্লাশি ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করলেও গেরিলাদের টিকিটির নাগালও পায়নি। আমাদের খুলনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন যে, পাক সেনারা শহরে এখনও স্বাভাবিক অবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। রোজ সকাল ৯টা হতে ১২টা পর্যন্ত শহরে লোকজন আসে। জিনিসপত্র ক্রয় বিক্রয় হয়। পরে রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ে। অফিসে কিছু কিছু কর্মচারী আসে- কিন্তু কাজকর্ম হয় না। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম খুবই বেশি। কাপড়-চোপড়, কেরোসিন তেল, ওষুধ পত্র দুষ্প্রাপ্য। কিন্তু ধান-চাল খুব সস্তা। লুটপাট, হয়রানি প্রভৃতির ভয়ে স্বাভাবিক ব্যবসা বাণিজ্যে অচলাবস্থা চলছে। চালনা বন্দর এখনো মৃত। শ্রমিকের অভাবে বন্দরের কাজ কর্ম বন্ধ। পাকসেনারা প্রধানত খুলনা, বয়রা ও মংলা ঘাঁটিতে থাকে। বাইরে বড় বেশি ঘোরাঘুরি করে না। কোথাও যাইতে হলে বড় বড় দলে খুলনা হতে ট্রাক যোগে, কিংবা মংলা হতে গান বোটে যাতায়াত করে। সাতক্ষীরায় মুক্তিবাহিনী কয়েকদিন আগে সীমান্ত এলাকার দুটি পাক ঘাঁটি দখল করে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে। ঘাঁটি দুটি হলো কাক ডাঙ্গা ও বৈকারি। ইতোপূর্বে মুক্তিবাহিনী তলুই গাছা চান্দুরিয়া ক্যাম্প ও হিজলদি ক্যাম্প দখল করে নেয়। চান্দুরিয়া হইতে বৈকারি এই সমগ্র এলাকা এখন মুক্তিবাহিনীর করতলগত। কাকডাঙ্গা ক্যাম্প হতে পলায়নের সময় পাকসেনারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও রসদ ফেলে যায়। মুক্তিবাহিনী তা দখল করেছে। মুক্তিবাহিনী তলুইগাছা হতে পিছন দিক দিয়ে পাক বাহিনীকে আক্রমণ করে ১৬ জন সৈন্য ও ৫ জন রাজাকার হত্যা করে। এছাড়াও আমি আমাদের সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ বিপ্লবী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অভিবাদন ও সম্মান জানাই এবং সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার কাছে তাঁর সর্বাঙ্গীণ সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য প্রার্থনা করছি। ভাই ও বোনেরা: আমাদের সমিতির পক্ষ হতে আমি আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাই, আমি আপনাদের সামনের সেসব কাজ পেশ করছি যা আমরা করেছি এবং আমার বিবেচনায় আপনারাই এর জন্য সেরা বিচারক। আপনারা জানেন যে বিশ্ব ইতিহাসের ঘটনাবলীতে মানুষ কখনোই এই ধরনের গণহত্যা, নৃশংসতা ও পাশবিকতা দেখেনি যা ইয়াহিয়া কর্তৃক পূর্ববঙ্গে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ হতে সংগঠিত হয়েছে। আপনারা অবগত আছেন যে তথাকথিত ইসলাম ধর্ম-রক্ষকেরা বাংলাদেশের মুসলমানদের হত্যা করছে, আমরা কি এতে নিশ্চুপ থাকতে পারি? এর একমাত্র উত্তর হচ্ছে ‘না’। আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হওয়ায় অন্যদের তাদের দেশের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রামকে সমর্থন দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং মানবতার দিক হতে কর্তব্য বলে অনুধাবন করছি। অতএব, গণতন্ত্রের ঝা-া উপরে তুলে ধরে রাখতে ১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল মালাদ নাগরিক বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি গঠিত হয়। এটি এমন একটি সংগঠন যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা একই সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়ন, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাসহ মিলিত হয়েছে। আমাদের সমিতি গঠনের পরে আমরা সেসব শহীদ যারা স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য আত্মত্যাগ করেছিল তাদের স্মরণে ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল একটি মৌন মিছিলের আয়োজন করেছিলাম। পাঁচশর বেশি নির্ধারিত পুরুষ ও নারীদের হাতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহনের মধ্য দিয়ে মিছিল অগ্রসর হয় এবং যেখানে সমিতির কর্মসূচী ঘোষণা করা হয় সেখানে তা গণমিছিলে পরিণত হয়। আমরা জনতার কাছে আবেদন করেছি যে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তিশালী করতে যে কোন প্রকারেই তারা যেন সহযোগিতা করে। আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই যে, ১৯৭১ সালের ৬ জুন আমরা বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং মুসলিম সংস্কার কমিটির চেয়ারম্যান শ্রী হামিদ দালওয়াই সাহাবের ‘বাংলাদেশ পরিদর্শন করা হতে পারে’ শীর্ষক একটি আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থা করেছিলাম যাতে প্রচুর সংখ্যক জনসমাগম হয়েছিল এবং সমিতি তদ্বানুসারে বক্তৃতা, শিক্ষা পাঠের ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ...কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে, সমাজের সকল স্তরের জনতা হতে তহবিল সংগ্রহের জন্য আমরা এক রুপী মূল্যমানের কূপন এবং খালি রসিদ বই ছাপিয়েছিলাম। এটা আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এই অর্থ প্রধানত অবহেলিত, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সদস্য এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবার, স্থানীয় গু-া হতে শুরু করে রেলওয়ের বিভাগীয় সুপারিন্টেডেন্ড, ছাত্র হতে, ক্ষুদে দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে, পুলিশ এবং আরপিএফ ব্যক্তি হতে, বুদ্ধিজীবী হতে, সরকারী ও বেসরকারী খাতের কেরানি হতে, সবজি বিক্রেতা হতে এবং এমন আরও অনেক হতে সংগৃহীত হয়েছে। এই আন্দোলন আরও শক্তিশালী করার জন্য সমিতির ব্যানারে নারী বিভাগও গঠন করা হয় এবং বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহ ও প্রচারে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অতএব, আমি এও অনুধাবন করছি যে সেই সব অকৃত্রিম সংগ্রাহক (নারী এবং পুরুষ) যারাই বিভিন্ন সময় তহবিল সংগ্রহের জন্য এগিয়ে এসেছেন ও কাজ করেছেন এবং সমিতিকে প্রয়োজনীয় উপকরণাদি বিনামূল্যে যোগান দিয়েছেন তাদের সকলকে আন্তরিক অভিবাদন ও সম্মান জানানো আমার নৈতিক দায়িত্ব, এটা বলাই বাহুল্য যে, যে পরিমাণ অর্থ আমরা সংগ্রহ করেছি, তা বলতে গেলে প্রায়ই অসম্ভব ছিল যদি না তারা তাদের মূল্যবান সমর্থন না দিত এবং আমাদের সাহায্য না করত। আমরা জানি যে, সংগৃহীত অর্থ এই বিশাল মানের কার্যাবলীর কাছে কিছুই নয়, বরং আমি এটা বলতে চাই যে। তা বিশাল সমুদ্রের সঙ্গে তুলনা করার মতো বিন্দুমাত্র জলের সমানও নয়। এমনকি ‘শুধু বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে’ সংগ্রামের পক্ষে পরিবেশ সৃষ্টি ও জনসাধারণকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তা ওয়াকিবহাল করার খাঁটি ও আন্তরিক অভিপ্রায়ের ভাবনা ছিল, আমাদের সংগ্রহ ৮, ১৫২ রুপী যার মধ্যে ৮, ১০১ রুপী প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলে দিয়ে দেয়া হচ্ছে যা পরবর্তীতে নয়া দিল্লীর বাংলাদেশ সহায়তা কমিটিকে হস্তান্তর করা হবে। আমি ভীত যে, এখনও যদি আমরা বাংলাদেশ বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করতে না পারি, তবে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ত্রুটিগুলোর জন্য আরও বড় ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে। আমাদের ভুলের জন্য ইতিহাস কখনই আমাদের ক্ষমা করবে না। আমাদের সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে-১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ হতে সন্দেহাতীতভাবে যারা মন্ত্রণালয়ের শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, কিন্তু এটা বিশ্ব শান্তিকেও বিপন্ন করছে। ভারত ধারাবাহিকভাবে দুর্বল ও নিপীড়িতদের পক্ষাবলম্বন করে আসছে। সে ন্যায়বিচার এবং নিরপেক্ষতার সমর্থক এবং তা সেই অত্যাচারী যতই শক্তিশালী হোক না কেন, যখনই যেখানে অত্যাচার ও নিপীড়ন হয়েছে ভারত তার বিরুদ্ধে উচ্চকিত থেকেছে। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক [email protected]
×