ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোধকারীদের মধ্যেও ভেজাল!

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ২২ আগস্ট ২০১৯

রোধকারীদের মধ্যেও ভেজাল!

নিত্যপ্রয়োজনীয় যত প্রকার পণ্য আছে প্রায় সবটাতেই ভেজালের কথা শোনা যায়। কিছু সত্য, কিছু মিথ্য। আর কিছু আছে বোঝার ভুল। আবার কিছু আমাদের অজ্ঞতা। ভেজালের মিথ্যা ছড়িয়ে কিছু লোক ফায়দা লুটছে। বিএসটিআই ভেজাল রোধে কাজ করে। যে সংস্থাটি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেই সংস্থাটিতেও ভেজাল। দুর্নীতির শেষ নেই। এ যেন সরিষার ভেতরেই ভূত। যারা ভেজাল রোধ করবে, তারা নিজেরাই ভেজালে জর্জরিত। ভেজাল রোধে জনসচেতনতা দরকার। সেটা এখন শূন্যের কোঠায়। সব মিলিয়ে এক হ-য-ব-র-ল অবস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিরীহ পাবলিক। খেটে খাওয়া মানুষ। খাদ্যে ভেজাল পরীক্ষায় সর্বাধুনিক মেশিনপত্র, প্রযুক্তি আনতে হবে। বিএসটিআইকে দুর্নীতিমুক্ত আধুনিকায়ন করা দরকার। সংস্থাটি একেক সময় একেক রিপোর্ট দেয়। ফলে এটি জনগণের আস্থা হারিয়েছে। ভেজাল রোধে আইন আছে। তবে প্রয়োগ খুব কম। খাদ্যে ভেজাল। এটা তো প্রকারান্তরে মানুষকে বিষ খাওয়ানো। ওষুধেও ভেজাল ধরা পড়েছে। ভাবা যায়? কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। পাশপাশি জরুরী হলো আইনের প্রয়োগ যেন হয়। সাধারণ মানুষ যেন ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে বিচার চাইতে পারে। ভেজাল নিয়ে কিছু মানুষ শুধুই আতঙ্ক ছড়ায়। যেমনÑ আমে ফরমালিন। প্রকৃতিগতভাবেই সামান্য ফরমালিন আমে থাকে। সৃষ্টিকর্তা দিয়ে দেন। এটা ক্ষতিকর নয়। আমসহ বিভিন্ন ফল, শাক-সবজিতে ফরমালিন আসলে কাজই করে না। যে খাদ্যে প্রোটিন কম। সেখানে ফরমালিন কাজ করে না। এটা মনগড়া কথা নয় একশ’ ভাগ বিজ্ঞানসম্মত কথা। অথচ ফরমালিনযুক্ত ফল বলা হয়। ফরমালিনের অজুহাতে হাজার হাজার মণ ফল ধ্বংস করা হয়। ফল কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়। এটা ফলের মধ্যে ঢুকতে পারে না। এই প্রক্রিয়ায় সারা বিশ্বেই ফল পাকানো হয়। দেশী পুষ্টি বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, দেশীয় সিজেনাল ফলে কোন রাসায়নিক নেই। মূলত মাছ, মাংস ছাড়া অন্য কিছুতে ফরমালিন কাজ করে না। আর ফরমালিনের দামও বেশি। একশ’ টাকার সবজি বাঁচাতে নিশ্চয়ই ব্যবসায়ী ৪০০ টাকার ফরমালিন দেবেন না? সবজিতে ফরমালিন দেয়ার মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন সংস্থা সরকারী অনুমতি নিয়ে ফরমালিন আমদানি করে। এখান থেকে বাইরে ফরমালিন বিক্রি হয়। এক কেজি লাগলে তারা দশ কেজি আনেন। এসব দেখার কেউ নেই। বানারীপাড়া, বরিশাল থেকে
×