নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ দীর্ঘ ২১ বছর পর হবিগঞ্জের উপজেলা বানিয়াচঙ্গে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর সামছুল, আফিল, নূর ট্রিপল মার্ডার পৃথক দুটি মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক জনাকীর্ণ আদালতে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম নাসিম রেজা ওই মামলার রায়ে জেলার সংশ্লিস্ট উপজেলাধীন পুরান পাথাড়িয়া গ্রামের জনৈক ঈসমাইলের ছেলে করম আলী, মৃত হেলিম উল্লার ছেলে আলী মোহাম্মদ, আবুল হাশিমের ছেলে সুরুজ আলী ও মৃত সঞ্জব আলীর ছেলে তুরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়াও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। এদিকে এই রায় ঘোষনাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি যেমন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন, তেমনি সংশ্লিস্ট মামলায় অন্তত ২’শ আসামি থাকায় তারা সহ তাদের আত্মীয় স্বজ্বন ও উৎসুক জনতার উপস্থিতিতে আদালত কক্ষ এবং পুরো প্রাঙ্গনে ছিল না তিল পরিমান ঠাই।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিগত ৯৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জেলার ওই গ্রামের বাসিন্দা শাহেদ আলী এবং আলী আহম্মদের লোকজনের মাঝে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের সূচনা হয়। এসময় শাহেদ আলীর পক্ষের সামছুল হক, আফিল উদ্দিন ও আলী আহম্মদ পক্ষের নূর মোহাম্মদ নিহত সহ উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত নূর মোহাম্মদের পক্ষ হয়ে তার ভাই আলী আহম্মদ বাদী হয়ে এদিনই সংশ্লিস্ট থানায় ১৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ফলে সংশ্লিস্ট থানার তৎকালীঢন উপ-পরিদর্শক এসআই অমরেন্দু বিশ্বাস বিগত ৯৯ সালের ১১ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বিজ্ঞ আদালত করম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
এদিকে একই সময় সংঘটিত উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় আতিকুন্নেছা বাদী হয়ে একই দিন ৬২ জনকে আসামি করে পাল্টা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায়ও একই এসআই অভিযোগ তদন্ত করে ৯৯ সালের ১১ আগষ্ট আরও একটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। এই মামলায় ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালত ওই ব্যক্তিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডেত করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: