ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দীপন হত্যা ॥ অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২২ আগস্ট ২০১৯

 দীপন হত্যা ॥ অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়াউল হকসহ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। শুনানির নির্ধারিত দিন বৃহস্পতিবার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফারহানা ফেরদৌস নতুন দিন ঠিক করেন বলে টাইব্যুনালের পেশকার রুহুল আমিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আদালতের মূল বিচারক মজিবুর রহমান ছুটিতে থাকায় আজ শুনানি হয়নি। ভারপ্রাপ্ত বিচারক নতুন দিন ধার্য করেছেন। ২০১৬ সালের ৩১ নবেম্বর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান গত ১৫ নবেম্বর ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে এজাহারভুক্ত আট আসামির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আট আসামি হলেন- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০) (সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই), মইনুল হাসান শামীম (২৪), আ. সবুর (২৩), খাইরুল ইসলাম (২৪), আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪), মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫), শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮) (সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ)। এদের মধ্যে জিয়াউল ও আকরাম ছাড়া গ্রেপ্তারের বাকি ছয় আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে প্রশিক্ষণ দেন। গত ১৯ মার্চ সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ১১ জনকে অব্যাহতি দেন। পলাতক দুই আসামি জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন তিনি। অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- আরাফাত রহমান, সেলিম ওরফে হাদী, আলম, আকাশ, তৈয়ব, জনি, আসাদ, হাসান, তালহা, শরিফুল ও তারেক।
×