ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ২৩ আগস্ট ২০১৯

 উবাচ

ভুলে স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদিন নেত্রীর জন্য কেঁদে মরেন। আর নেত্রীর মুক্তির বিষয়ে তাহলে কেন সিদ্ধান্তহীনতা। একবার বলছেন আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু পরের দিনই আবার জানালেন না তিনি আসলে সিদ্ধান্ত নেননি এই বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। বরং সংবাদ মাধ্যমের উপর দায় চাপিয়ে জানালেন, সংবাদ মাধ্যমই ভুল করেছে। এ বিষয়ে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন কালকে উনিই বলেছেন, উনি আজকে সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন। এখানে আমার কিছু বলার নেই। এখন বিবেচনার বিষয় কেন ফখরুল এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেন। ধরা যাক আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বিষয়টি বিএনপি তুলে ধরল। কিন্তু কি বলবে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন মা আর ছেলে মিলে এতিমখানার টাকা সরিয়েছিলেন। এই জন্য এই সাজা। এত যারা জানত না তারাও জেনে যাবে খালেদা জিয়া এতিমের টাকা সরিয়েছেন। কাদায় গরুর গাড়ি স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপিকে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের শিল্পকর্ম কাদায় আটকে যাওয়া গরুর গাড়ির সঙ্গে তুলনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিএনপিকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের পথ থেকে ফিরে আসারও আহ্বান জানান তিনি। সরকার বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতে চায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজে নির্বাচিত হয়ে আসন ছেড়ে দিয়েছেন, শূন্য করেছেন। তাহলে বোঝেন আপনি কতটা শূন্য। আপনার অবস্থা কোথায়? আপনারা তো নিজেই নিজেদের শূন্য করছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল বিএনপি। তারা ক্ষমতায় থাকার সময়ে গুম, খুন, বোমা হামলা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন তারাই শূন্য হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কি ভাল ছেলেরে! স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছিল বিএনপি সরকারের মদদে আর এর ব্যবস্থাপনায় ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান। বিগত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় লন্ডনে সটকে পড়া তারেক রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শুধু ২১ আগস্টই নয় বহু কলঙ্কিত ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব। সেই তারেক রহমানকে এখনও নির্দোষ দাবি করছে তার দল বিএনপি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আসামিদের পিটিয়ে, নখ তুলে, জোর করে তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার বিষয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। পিছনে ফিরলে দেখা যায় এই ঘটনায় জজ মিয়া নামে একজনকে বিএনপি গ্রেফতার করেছিল। ঘটনার দিন আহতদের চিকিৎসা যেন না করা হয় এজন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারদের সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। হাসপাতালের সামনের সব ওষুধের দোকান জোর করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আহতদের যেন অন্য হাসপাতালে সরিয়ে না নেয়া হয় এজন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পুলিশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এই চক্রান্তর হোতা বিএনপির রিজভী কি এসব ভুলে বসে আছেন। তা না হলে রিজভী কি করে বলেন, ‘এই ঘটনাটা টার্গেট করে নিয়ে যেতে হবে তারেক রহমানের দিকে। তাকে উদ্দেশ্যমূলক ফাঁসানোর জন্য তারা ক্ষমতায় এসে জোর করে আসামিদের পিটিয়ে হাতের নখ তুলে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। তারপরও কিন্তু তারা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বলেছে যে জোর করে টর্চার করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। এরপর তো আর কোন কথা থাকতে পারে না। কে বলেছে কথা থাকতে পারে না। তারেক রহমান যদি এতই সুপুরুষ হন কেন ফিরে এসে সবকিছুর মোকাবেলা করেন না। সেই সৎ সাহস তারেক রহমানের নেই বলেই হয়ত তিনি আর আসেননি। কিন্তু রিজভীর হুট করে তারেক রহমানকে ভাল ছেলে বানানোর এই প্রচেষ্টা কেন?
×