ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ২৩ আগস্ট ২০১৯

 ঝলক

পুড়ছে আমাজন! আগের চেয়ে আরও দ্রুত গতিতে দাবানলে পুড়ছে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ খ্যাত আমাজন জঙ্গল। ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্স (আইএনপিই) বলছে, এ বছর এখনও পর্যন্ত ব্রাজিলে ৭২,৮৪৩টি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আগুনের ঘটনা আমাজন জঙ্গলের। যা আগের বছরের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি। তাদের হিসাব মতে, দাবানলে প্রতি মিনিটে আমাজনের প্রায় ১০,০০০ বর্গমিটার এলাকা পুড়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এ অবস্থা চলতে থাকলে জলবায়ু পরিবর্তনবিরোধী লড়াইয়ে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অক্সিজেনের ২০ শতাংশেরই উৎপত্তি আমাজনে। গবেষকদের মতে এই বন প্রতিবছর ২০০ কোটি মেট্রিক টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে। সে কারণে একে ডাকা হয়ে থাকে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ নামে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হারকে ধীর করতে আমাজনের ভূমিকাকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। বিশ্বের দীর্ঘতম এ জঙ্গলটির আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের আয়তনের প্রায় অর্ধেক। আইএনপিই ২০১৩ সাল থেকে আমাজন জঙ্গলে আগুন লাগা নিয়ে গবেষণা করছে। সম্প্রতি প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে রেকর্ড হারে পুড়ছে আমাজন জঙ্গল। এরইমধ্যে ব্রাজিলের রোন্ডানিয়া, আমাজোনাস, পারা, মাতো গ্রোসো অঞ্চলের কিছু অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আমাজনে আগুন লাগা কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। তবে এবারের মতো আগুন আগে কখনও ছড়ায়নি জঙ্গলে। আগুনের ধোঁয়ার জন্য সাও পাওলোর আকাশ কালো হয়ে গেছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটা আসলে মেঘ নয়, হাজার কিলোমিটার দূরে ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডের ধোঁয়া চলে গেছে সেখানে। আগুনের ভয়াবহতা কতটা প্রকট হলে হাজার কিলোমিটার দূরের আকাশও কালো হয়ে যায় তা ধারণা করা যেতে পারে। সামাজিক মাধ্যমেও দানবীয় আকারের সেই ধোঁয়ার কুণ্ডলীর ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে। সবুজ বনের ওপর দিয়ে লাল অগ্নিশিখা বয়ে বেড়াচ্ছে শুধু অন্ধকারই রেখে যাচ্ছে পেছনে। সেই ধোঁয়াই ১৭০০ মাইল পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছে সাও পাওলোতে। -সিএনএন মহাকাশে গেল ফেদর ! প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) পূর্ণ আকৃতির ‘আধা-মানব’ রোবট পাঠিয়েছে রাশিয়া। এর নাম ‘ফেদর’। মহাকাশ কেন্দ্রে ১০ দিন অবস্থান করে নভোচারীদের সহযোগী হিসেবে কাজ শিখবে সে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কাজাখস্তানে স্থাপিত রাশিয়ার বাইকোনার রকেটবন্দও থেকে ‘সুয়োজ এমএস-১৪’ মহাকাশযানে অন্যতম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবটটি উড্ডয়ন করে। ফেদরকে বহনকারী রকেটটি শনিবার (২৪ আগস্ট) নাগাদ মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছাবে। ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এটি সেখানেই অবস্থান করবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণত পাইলটদের মাধ্যমেই সুয়োজ রকেটের উড্ডয়ন কাজ পরিচালিত হয়। কিন্তু এই প্রথম জরুরী উদ্ধার অভিযান বিষয়ক পরীক্ষা চালাতে পাইলটবিহীন সুয়োজে করে ‘আধা-মানব’কে মহাকাশে পাঠানো হলো। বরং বিশেষভাবে বানানো পাইলটের সিটে ফেদরকেই বসিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তার হাতে শোভা পাচ্ছে রাশিয়ার একটি পতাকা। মহাকাশের প্রথম নভোচারী ইউরি গ্যাগারিনের বিখ্যাত উক্তি ‘চলো যাই, চলো যাই’ বলতে বলতে ফেদর ভূ-পৃষ্ঠ ত্যাগ করে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। রুপালি রংয়ের মানবাকৃতির এ রোবটের উচ্চতা পাঁচ ফুট ১১ ইঞ্চি এবং ওজন ১৬০ কেজি। ফেদরের ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার এ্যাকাউন্টও রয়েছে। সেখানে তার সম্পর্কে বলা হয়, ফেদর সম্প্রতি নতুন নতুন কলাকৌশল আয়ত্ত করছে। যেমন- পানির বোতল খোলা। মহাকাশ কেন্দ্রে স্বল্প মাধ্যাকর্ষণ বলের মধ্যে সে এসব কৌশল চর্চা করবে। শুধু তাই নয়, সুয়োজ রকেটটি পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছানোর পর ফেদরের টুইটার এ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয় যে, পরিকল্পনা অনুযায়ী উড্ডয়নের পর প্রথম ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। -জাপান টাইমস
×