ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

দ্বীপ গ্যালারিতে শামসেত তাবরেজীর চিত্রপ্রদর্শনী ‘মুহূর্তমা’

প্রকাশিত: ১১:১১, ২৩ আগস্ট ২০১৯

 দ্বীপ গ্যালারিতে শামসেত তাবরেজীর  চিত্রপ্রদর্শনী ‘মুহূর্তমা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাষার সীমানা পেরিয়ে তিনি পদার্পণ করেছেন দৃশ্যকলায়। কাব্যিক ছন্দের বদলে রং ও রেখার আঁচড়ে ঘটিয়েছেন আপনার ভাবনার প্রকাশ। এভাবেই কবি থেকে চিত্রশিল্পীতে পরিণত হয়েছেন শামসেত তাবরেজী। আর সেই শিল্পিত পথে বিমূর্ত রীতিতে এঁকেছেন ছবি। সেখানে বাস্তব জগতের সঙ্গে সাদৃশ্যহীন কিছু পট রচনা করেছেন। এ্যাক্রেলিক রং ব্যবহারে করে ক্যানভাস ও কাগজে উপস্থাপন করেছেন ক্রিয়াশীলতা। যেখানে রঙের মাঝে খেলা করে বিষয়। সেসব ছবি নিয়ে রাজধানীর লালমাটিয়ায় দ্বীপ গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীটির শিরোনাম ‘মুহূর্তমা’। প্রদর্শনীর কিউরেটিং করেছেন মোস্তফা জামান। প্রদর্শনীর কাজগুলো সৃষ্টিতে শামসেত তাবরেজীর জন্য সময় এক প্রকার অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। শিল্পী মুহূর্তের অনুভূতির আকারায়নে মন দিয়েছেন। নতুন এই যাত্রায় তার পদচারণার বিক্ষিপ্ততা নেই, বিবিধতা আছে। নানামুখী তৎপরতার সমন্বয়ের প্রয়াস যদি হয় এই প্রদর্শনী, ‘মুহূর্তমা’ এই নামজারিকরণের মধ্যে দিয়ে কবি-শিল্পী যা প্রকাশ করেছেন যা মুহূর্তের মধ্যে যে অপর মুহূর্ত হাজির হয়, সেই বাস্তবতা। প্রদর্শনীর চিত্রকর্ম প্রসঙ্গে শিল্পীর ভাষ্য হচ্ছে, নিরাকারের আকার-ভাব আমার ছবির বিষয়বস্ত। কাল ও কালো বানান ভেদেও ক্লেশ এড়িয়ে আমি দুইকে এক অর্থের মধ্যে দেখার পক্ষে। আকার জ্যামিতিময় ও বর্ণপ্রধান। আদি মৌলিক পদার্থের মধ্যে অন্যতম কার্বনের প্রতিভাস প্রভাবসঞ্চারী রং হিসেবে বিরাজমান ছবিতে, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গতি। জন্ম এবং ধ্বংসের ভেতর দিয়ে ক্রমাগত রূপান্তর হয়ে চলেছে জগত নিরবধিকাল ধরে এবং তাই নিখিল শূন্যের আরেক নাম বলা হয় শিবা। ইংরেজীতে বললে ‘দ্যাট হুইচ ইজ নট’। আমার ছবি এই ইশারাকে শিল্পমান্য মনে করে গড়ে ওঠার আহ্লাদ করে। শিল্প বলে যে বুর্জোয়া ধারণা আছে, তার প্রতি আমার ইমান নেই। আমি ছবি-জ্যামিতি, সঙ্গীত, কবিতাসমূহকে মানুষের তাবৎ দেহ-নিগূঢ়তার ‘হওয়া’ বা হয়ে ওঠার কাব্য বলে মনে করি। আছেময়তাই আমার কাছে অপার সম্ভাবনা। বিমূর্ত রীতিতে চিত্রিত ৩৫টি চিত্রকর্মে সজ্জিত এ প্রদর্শনীর সূচনা ২৭ জুলাই। বৃহস্পতিবার ছিল এ প্রদর্শনীর শেষ দিন। দমের মাদার নাটকের প্রদর্শনী ॥ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হলো নাট্যম রেপার্টরির নাটক ‘দমের মাদার’। সাধনা আহমেদের রচনায় দর্শকসমাদৃত প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন ড. আইরিন পারভীন লোপা। দমের মাদার নাটকে তুলে ধরা হয়েছে যুগে যুগে, কালে কালে ধর্মকে নিয়ে চলেছে নানা ধরনের ব্যবসা। দেশে দেশে ধর্মকে নিয়ে চলছে রাজনীতি। ধর্মের বিভেদরেখায় আলাদা হয়ে যাচ্ছে মানুষ মানুষের কাছ থেকে। এ যেন এক অন্ধ রাহুর গ্রাস। আর এই রাহু গ্রাস যুগ থেকে যুগান্তরে সত্য ও সুন্দরকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। নিগূঢ় সেই সত্যের পথরেখায় উঠে এসেছে মাদার পীরের আখ্যান। মাদার পীরের এক ভক্ত সম্প্রদায়কে ঘিরে গড়ে উঠেছে দমের মাদার নাটকের গল্প। আংশিক সত্য একটি ঘটনাকে আশ্রয় করে নাট্যকার সাধনা আহমেদ লোক আঙ্গিক রীতিতে নাটকটি রচনা করেছেন। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন শিশির রহমান, শুভাশিষ দত্ত তন্ময়, পারভীন আখতার পারু, শামীমা আক্তার মুক্তা, ফজলে রাব্বি সুকর্ণ, দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি, তাহমিনা খানম, মনোহর দাস, অমিতাভ রাজিবসহ অনেকে।
×