ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করুনারত্নেই আত্মবিশ্বাসের প্রেরণা ॥ ডিকভেলা

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২৩ আগস্ট ২০১৯

করুনারত্নেই আত্মবিশ্বাসের প্রেরণা ॥ ডিকভেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপের আগে টানা ব্যর্থতার জন্য আর স্কোয়াডেই জায়গা হয়নি নিরোশান ডিকভেলার। উদীয়মান এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ছিলেন দারুণ প্রতিশ্রুতিশীল। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলা হয়নি তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সংগ্রামরত শ্রীলঙ্কা দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় নানা রদ-বদল আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাঝে পড়ে গিয়ে। কিন্তু আবার তিনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে গিয়ে অধিনায়ক দিমুথ করুনারতেœকে যেভাবে পেয়েছেন তাতে করে ভাল করার উৎসাহটা বেড়ে গেছে অনেকখানি। বর্তমান শ্রীলঙ্কা দলের আরও অনেকেই অবশ্য অধিনায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। ২৬ বছর বয়সী ডিকভেলা অফফর্মের কারণে ছিটকে গেলেও আবার ফিরেছেন সফরকারী কিউইদের বিপক্ষে। প্রথম টেস্টে ৬১ রানের দারুণ একটি ইনিংসও উপহার দিয়েছেন প্রথম ইনিংসে। লঙ্কান ক্রিকেটে পালাবদলের প্রক্রিয়ায় অনেক ধরনের রদবদলই হয়েছে। বিশেষ করে গত ৩ বছরে তাদের টেস্ট ক্রিকেট দেখেছে ৫ অধিনায়ক। করুনারতেœ সেই পঞ্চম ব্যক্তি। তবে তিনি বেশ থিতুই হতে চলেছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ খেলোয়াড়রাও তাকে বেশ ভালভাবে গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে বিশ্বকাপে ৪ বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন আর সেখানেই করেছেন অধিনায়কত্ব যা বিস্ময়করই। সেই করুনারতেœ এখন টেস্ট, ওয়ানডের অধিনায়ক। দলের সতীর্থ অনেকেই বিভিন্ন সময়ে তার প্রশংসা করেছেন। খেলোয়াড়দের ওপর কখনও তিনি মারমুখী মনোভোব দেখান না, কখনও চড়াও হয়ে রূঢ়ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন না, আর যখন সমালোচনার দরকার করুনারতেœ নিশ্চিত করতে চান সেটি যেন গঠনমূলক হয়। এ সবই তার সতীর্থদের বক্তব্য। এখন ডিকভেলাও এসবের প্রমাণ পেয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে করুনারতেœ নেন শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব। পাল্টে যায় দল। প্রথম এশিয়ান দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জেতে তারা। এই ওপেনারের নেতৃত্বে তিন টেস্টের সবগুলোই জিতেছে লঙ্কানরা। মুক্তমনা এই অধিনায়ককে বেশ মনে ধরেছে সতীর্থদের। ড্রেসিংরুমে কারও ওপর কর্তৃত্ব দেখান না করুনারতেœ। মাঠেও খেলোয়াড়দের দেন নিজেদের মতো করে খেলার স্বাধীনতা। তাই বিশ্বকাপে করুনারতেœকে ‘একজন ভাইয়ের মতো’ বলেন অভিজ্ঞ থিসারা পেরেরা। ভারপ্রাপ্ত কোচ রুমেশ রতœায়েকও ড্রেসিংরুমে তার অধিনায়কের শান্ত স্বভাবের প্রশংসা করেছেন। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সহঅধিনায়ক হিসেবে থাকা ডিকভেলা বললেন, ‘দিমুথ একেবারেই অন্য ধরনের একজন অধিনায়ক। তার খেলোয়াড় সামলানোর উপায় অন্য রকম। প্রত্যেক অধিনায়কের নিজস্ব স্বকীয়তা থাকে। আমি দিমুথের সঙ্গে অনেক খেলেছি এবং সে যেটা করে- ম্যাচে শতভাগ দেয়ার জন্য খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দেয়। দিমুথ খেলোয়াড়দের বলে, মাঠে যাও এবং যেটা করতে চাও সেটাই কর, যেটা অনুভব কর সেটাই করে দেখাও। আমরা কোন ভুল করলে সে আমাদের একপাশে ডেকে বলে এমনটা হয়েই থাকে, পরেরবার কি এই ভুল সংশোধন হবে না? সামর্থ্য নিয়ে আপনার মনে সে আত্মবিশ্বাস এনে দিতে পারে।’ আর সে জন্যই এখন আবার আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন ডিকভেলা। শুধু টেস্ট নয়, এখন ওয়ানডে দলেও ফিরে আসার সমান উৎসাহ পেয়েছেন তিনি।
×