ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভাষা শিক্ষা ভিসায় জাপানের কড়াকড়ি

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ২৩ আগস্ট ২০১৯

ভাষা শিক্ষা ভিসায় জাপানের কড়াকড়ি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশীসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে জাপানী ভাষা নিয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা দেয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দিয়েছে জাপানের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। খবর বিডিনিউজের। শিক্ষার্থী ভিসা নিয়ে নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে জাপানের প্রভাবশালী বার্তা সংস্থা কিয়োডো নিউজ। চলতি বছর এপ্রিল থেকে জাপানের নতুন ভিসা ক্যাটাগরি চালু হয়। এর মধ্যেই দেশটির সরকার এই কড়াকড়ি আরোপ করল। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, টোকিও জাপানিজ ভাষা শিক্ষা স্কুল সংস্থার এক জরিপে দেখা গেছে- প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে জাপানী ভাষায় পড়তে আসা বাংলাদেশীদের আবেদনের পর ভিসা পাওয়ার হার ছিল ৬১ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর এপ্রিলে সেই সংখ্যা নেমেছে ২১ শতাংশে। একইভাবে ভিসা হ্রাস করা হয়েছে মিয়ানমারের জন্য। মিয়ানমারের নাগরিকদের ক্ষেত্রে গত বছর ভিসা পাওয়ার হার ছিল ৭৬ শতাংশ। সেখান থেকে এ হার ১৫ শতাংশে নেমেছে। শ্রীলঙ্কার ভিসার হার ৫০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশ করা হয়েছে। তবে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের জন্য আগের মতো ৯০ শতাংশ বহাল রয়েছে। জাপানের অভিবাসন ব্যুরোর কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত জাপানী ভাষা শিক্ষা-ভিসায় সপ্তাহে ২৮ ঘণ্টা পার্ট টাইম কাজের অনুমতি দেয়া হলেও বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কার থেকে আসা নাগরিকরা তা মানছেন না। ভিসার আবেদনে এসব দেশের নাগরিকরা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। এদের অনেকেই শিক্ষা ভিসায় এসে অবৈধভাবে কাজ করছেন, যেটা ভিসার শর্তের সঙ্গে যায় না। যে কারণে এসব দেশ থেকে পাওয়া আবেদন কঠোরতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণের পরই ভিসা দেয়া হচ্ছে। অভিবাসন ব্যুরোর কর্মকর্তারা আরও বলছেন, বুধবার পর্যন্ত ৮৩২ জন জাপান ত্যাগ করেছে, যাদের শিক্ষা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছিল গত বছর। এদের অর্ধেকই ভিয়েতনামের হলেও ১৫২ জন চীনের, ৬২ জন নেপালের এবং ৪৩ জন ফিলিপিন্সের নাগরিক ছিল। শ্রমিক সঙ্কটের মুখে থাকা জাপান ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশ থেকে শ্রমিক আনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়েছে, যে তালিকায় বাংলাদেশ ছিল না। এপ্রিল থেকে বিদেশী শ্রমিক আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাপানের চাকরিদাতা সংস্থাগুলো কৌশলে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষা ভিসায় শ্রমিক এনে কম বেতনে কাজ দিচ্ছে।
×