ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আমিরাত এবং সৌদির মধ্যে বিভেদ আমেরিকার জন্য দুঃসংবাদ

প্রকাশিত: ০১:৪৫, ২৩ আগস্ট ২০১৯

আমিরাত এবং সৌদির মধ্যে বিভেদ আমেরিকার জন্য দুঃসংবাদ

অনলাইন ডেস্ক ॥ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের মধ্যকার চলমান বিভেদকে মার্কিন সাংবাদিকরা আমেরিকার জন্য দুঃসংবাদ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের লক্ষ্য করেই মূলত এই ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু সম্প্রতি ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন চালানোর মাঝপথেই এই দুই দেশের মধ্যে বড় রকমের দ্বন্দ্বের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন খবর থেকে জানা যাচ্ছে, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৫ সালে সম্মিলিতভাবে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ গেরিলাদের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন শুরু করলেও এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব সমর্থিত গেরিলাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষ হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবের যুবরাজের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু সম্প্রতি ইয়েমেন যুদ্ধের অচল অবস্থা এবং পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় ইরানকে কিভাবে মোকাবেলা করা হবে তা নিয়েই মূলত দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সিএনএনের সাংবাদিক টিম লিস্টার তার এক নিবন্ধে জানিয়েছেন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব আমেরিকার সামরিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য বড় রকমের সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ এই দুই দেশের কাছে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে। এছাড়া, আমেরিকা এই দুই দেশের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। দেশ দুটিকে এক কাতারে রেখে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে রেখেছে। দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নষ্ট হলে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উত্তেজনা কমে যাবে। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংঘাত সংঘর্ষের আশংকা কমে যাবে এবং সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়তো অস্ত্র কেনা কমিয়ে দেবে। তখন আমেরিকার স্বার্থের জন্য তা একরকমের বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। আমেরিকা প্রতিবছর মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি ডলার আয় করে থাকে।
×