ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মীরে আটকদের মুক্তির দাবি বিরোধী দলের

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ২৪ আগস্ট ২০১৯

  কাশ্মীরে আটকদের মুক্তির দাবি বিরোধী দলের

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দলগুলো। একইসঙ্গে সেখানকার যোগাযোগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করারও দাবি জানায় তারা। বৃহস্পতিবার দিল্লীতে এক বিক্ষোভে অংশ নেয় বিরোধী দলগুলো। এটি আয়োজন করে তামিলনাড়ুর স্থানীয় দল দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাঘাম। রাজনীতিবিদ ছাড়া এখানে যোগ দেয় সমাজকর্মী ও অনেক কাশ্মীরী শিক্ষার্থীও। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। এর আগ মুহূর্তে জম্মু-কাশ্মীরে আধাসামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত ৩৫ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। পরে নতুন করে সেখানে নিয়োজিত হয় আধাসামরিক বাহিনীর আরও আট হাজার সদস্য। উপত্যকায় কারফিউ জারির পাশাপাশি টেলিফোন-ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। এতসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরেও সেখানে বিক্ষোভ ঠেকাতে পারছে না ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। গ্রেফতার করা হয়েছে সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ অনেককে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের গোলাম নবি আজাদ বলেন, ‘বিজেপি ও তার আদর্শিক সঙ্গী আরএসএস ৩৭০ ধারা বাতিল করে উদ্যাপন করছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জানতো না আসলে সেটা কি। তারা এই মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা বলছে সব যোগাযোগ স্বাভাবিক। অথচ শুধু কর্মকর্তাদেরই ফোন সংযোগ আছে। আর কারও নেই। আন্দোলনে বিক্ষোভকারীরা রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি ও যোগাযোগ সেবা খুলে দেয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এছাড়া ঐক্যেরও ডাক দেয় তারা। কাশ্মীরের ‘অঘোষিত জরুরী অবস্থা’কে প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। আটককৃত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তিরও দাবি জানায় তারা। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আছে সংসদ সদস্য ফারুক আব্দুল্লাহ, সাবেক মুখমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আব্দুল্লাহ, সাবেক সচিব ও রাজনীতিবিদ শাহ ফয়সাল। এছাড়াও আরও হাজার হাজার কাশ্মীরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দিনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হলো কাশ্মীরের নেতারা এমন কি করেছে যে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। এই প্রশ্ন আমাদের অধিকার। তারা অপরাধে করলে তার সাজা হবে কিন্তু তারা কি অপরাধ করেছে তা জানতে হবে আমাদের।’ একই কথা বলেন সর্বভারতীয় ডেমোক্র্যাটিক উইমেন্স এ্যাসোসিয়েশনে সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী মাইমুনা মোল্লাহ। তিনি বলেন, নেতারা কেন কারাগারে। -ওয়েবসাইট
×