ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হাসপাতাল

এক যুগ পড়ে আছে ১৫ বাসভবন ॥ ডাক্তার থাকেন না

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ২৪ আগস্ট ২০১৯

 এক যুগ পড়ে আছে ১৫ বাসভবন ॥ ডাক্তার থাকেন না

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ এক যুগের অধিক কাল পড়ে রয়েছে ১৫টি বাসভবন। একটি ভবনে উপজেলা (সদর) স্বাস্থ্য কেন্দ্র। অপর ১৪টি অযতœ অবহেলায় দরজা, জানালা থেকে শুরু করে প্লাস্টার নষ্ট হচ্ছে। ধসে যাচ্ছে প্লাস্টার। সদর হাসপাতালে ১০০ শত বেড থাকার সময়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও মেডিক্যাল অফিসার থাকার জন্য এইসব কোয়ার্টার বানানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য বিভাগ প্রায় ১৬ বছর আগে এইসব কোয়ার্টার বানিয়েছিল। সেই সময়ে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা। অথচও কোয়াটারগুলোতে কেউ বসবাস কওে না। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর পরই সিএমএমইউ স্থানীয় সিভিল সার্জনকে কোয়াটারগুলো বুঝিয়ে দিয়েছিল। ডাক্তারের ক্যাম্পাসে বসবাস না করায় জরুরী মুহূর্তে রোগীরা যেমন চিকিৎসা সেবা থেকে তাৎক্ষণিক বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি চিকিৎসার অভাবে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। বর্তমানে সেই হসপিটাল রূপান্তর হয়েছে উন্নত হয়েছে আড়াই শত বেডে। তারপরেও ডাক্তারেরা কোয়াটারে থাকে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে সিনিয়র কনসালটেন্টের জন্য ২ ইউনিট, জুনিয়ার কনসালটেন্ডের জন্য ৪ ইউনিট, মেডিক্যাল অফিসারের জন্য এক ইউনিট, নার্সদের জন্য ৩ ইউনিট, দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ১ ইউনিট, ৪র্থ শ্রেণীর জন্য ৪ ইউনিট এখন পর্যন্ত নার্স, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা কোঠারগুলোতে উঠলেও চিকিৎসকরা উঠছেন না। সিভিল সার্জন বলেন, ডাক্তারদের একাধিকবার নোটিস দেয়া হলেও সরকারী বাস ভবনে উঠছেন না। স্বাস্থ্য সেবা কমিটি কয়েক দফা চেষ্টা করেও ডাক্তারদের বরাদ্দ দেয়ার পরেও বাস ভবন ব্যবহার করছেন না। তবে অনেক ডাক্তার রাজশাহী থেকে এসে ডিউটি করেন। এছাড়া সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ডিউটি করার কথা থাকলেও চিকিৎসকরা সময়মতো ডিউটি করেন না। বর্তমানে আড়াই শ’ বেডের হসপিটাল হওয়ার পর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেলেও সময় মতো কোন ডাক্তার আসেন না। এলেও অন্যত্র বসে সময় কাটান। কিন্তু রোগীর কাছে যেতে চান না।
×