ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাঁচ প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে মনোনীত

বিটিআরসির মনিটরিং সিস্টেম শীঘ্রই চালু হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ২৪ আগস্ট ২০১৯

 বিটিআরসির মনিটরিং সিস্টেম শীঘ্রই চালু হচ্ছে

ফিরোজ মান্না ॥ মোবাইল ফোন অপারেটরদের নেটওয়ার্কের ওপর নজর রাখতে বিটিআরসি ‘মনিটরিং সিস্টেম’ স্থাপন করতে যাচ্ছে। এই সিস্টেম চালু হলে গ্রাহক সেবার মান ও মোবাইল অপারেটরদের আয়ের হিসাব সহজেই জানতে পারবে বিটিআরসি। অপারেটরদের কলড্রপের টাকাও ফেরত দিতে হবে। সিস্টেমের মাধ্যমে ডেটা ট্রাফিক পর্যবেক্ষণ, কল ডিটেইল রেকর্ড সংরক্ষণ হবে। তখন আর গ্রাহক প্রতারণার শিকার হবেন না। মনিটরিং সিস্টেম চালু করার জন্য ইতোমধ্যে বিটিআরসি ৫ প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেছে। এখান থেকে একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেয়া হবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম (টিএমএস) স্থাপনের জন্য অনেক আগে থেকেই উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে এতদিন এই কাজটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কাজটি বাস্তবায়নের জন্য বিটিআরসি গত বছর দরপত্র আহ্বান করে। এতে দেশী-বিদেশী মোট ১৭টি দরপত্র জমা পড়ে। এখান থেকে সটলিস্ট করে পাঁচ কোম্পানিকে রাখা হয়েছে। এই পাঁচ কোম্পানিকে বিটিআরসি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে তারা প্রাথমিকভাবে যোগ্য। তাদের পরবর্তী কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তারা কাগজপত্র জমা দিলে আরও সটলিস্ট করে একটি কোম্পানিকে কাজটি দেয়া হবে। টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, বিটিআরসি মনিটরিং সিস্টেম শীঘ্রই চালু হবে। কারণ বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এখন যে পাঁচ কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হয়েছে- এখান থেকেই একটি কোম্পানিকে কাজ দেয়া হবে। গ্রাহক স্বার্থে বিষয়টি কমিশন দ্রুতই বাস্তবায়ন করবে। বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত এ ব্যবস্থায় মোবাইল ফোন অপারেটররা সেবা এবং আয় সম্পর্কিত হিসাব পর্যবেক্ষণের জন্য টিএমএস সংযোজনে কোম্পানি নিয়োগের প্রাথমিক ধাপ শেষ করেছে কমিশন। নিযুক্ত কোম্পানি কোন অপারেটরের নেটওয়ার্ক কেমন, কোন অপারেটরের কলড্রপ কত ইত্যাদি অন্যান্য বিষয় বিটিআরসির কাছে রিপোর্ট আকারে জমা দেবে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট অপারেটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সীমাহীন কলড্রপে মোবাইল গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের বার বার নির্দেশ দেয়ার পরও কলড্রপ কমছে না। সবশেষ আদালতও কলড্রপের বিষয়ে নির্দেশ দিলেও ওই নির্দেশ অপারেটররা মানছে না। কলড্রপের ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে গত বছরের জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। প্রায় এক বছর আগে আপারেটদের এই নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। কিন্তু অপারেটররা ক্রমাগত বিটিআরসির নির্দেশ উপেক্ষা করে যাচ্ছে। তারা গ্রাহকের কলড্রপের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ বাস্তবায়ন করার বিষয়ে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন ১ কোটি ৯০ লাখ মিনিট কলড্রপ হচ্ছে। অপারেটরা দিনে কলড্রপ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কলড্রপ একটি বড় সমস্যা উল্লেখ ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও চরম বিরক্ত। তিনি কলড্রপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় কথা বলেছেন।
×