ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আলাদা শিশু আদালত হওয়া উচিত ॥ বিচারপতি ঈমান আলী

প্রকাশিত: ১১:০১, ২৫ আগস্ট ২০১৯

আলাদা শিশু আদালত হওয়া উচিত ॥ বিচারপতি ঈমান আলী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিশু কিশোর অপরাধের বিচারের জন্য আলাদা শিশু আদালত হওয়া উচিত। যেখানে শুধুমাত্র শিশুদের অপরাধের বিচার কাজ চলবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এটি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আপীল বিভাগের বিচারপতি ঈমান আলী। শনিবার সুপ্রীমকোর্টের কনফারেন্স কক্ষে শিশু আইন ২০১৩ নিয়ে বিভাগীয় পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জাতিসংঘের শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ এবং সুপ্রীমকোর্টের বিশেষ কমিটি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি নাইমা হায়দারসহ অনেকে। বিচারপতি ঈমান আলী বলেন, পৃথক শিশু আদালত প্রতিষ্ঠার কথা আইনমন্ত্রী ২০১৭ সালের মে মাসে বলেছিলেন। কিন্তু দুইবছর কেটে গেলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন গরিব রাষ্ট্রগুলোতেও শিশুদের জন্য আলাদা আদালত রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনও আমরা করতে পারিনি। তিনি বলেন, শিশুদের বিচার হবে সংশোধনের উদ্দেশ্যে। শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে নয়। শিশু আর প্রাপ্ত বয়সের অপরাধীর বিচার এক রকম নয়। প্রাপ্ত বয়সের অপরাধীর ক্ষেত্রে শাস্তি দেয়াই থাকে উদ্দেশ্য। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে সেটি নয়। আইনেই বলা আছে শিশু অপরাধীর বিচার তাড়াতাড়ি করতে হবে। কেননা তাদের ভবিষ্যত সামনে। তাকে ভাল হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সভায় ‘শিশু আইন ২০১৩’ ও সম্প্রতি হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ শিশু আইনে বিচারে সাত দফা নির্দেশনা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে। শিশু আইনে অসঙ্গতি, অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তি থাকায় এই আইনে বিচারের ক্ষেত্রে শিশু আদালতের বিচারক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। শিশু আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। পুরান ঢাকার মোঃ ওসমান হত্যা মামলার আসামি শিশু মোঃ হৃদয়ের জামিন আবেদন নিয়ে এক রায়ে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ২১ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন।
×