ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

হংকং বিক্ষোভে লাভবান মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড

প্রকাশিত: ১২:০৪, ২৫ আগস্ট ২০১৯

হংকং বিক্ষোভে লাভবান মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড

মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রকল্প হংকংবাসীর কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চলমান চীন বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে এ বছর হংকং থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ধনী মালয়েশিয়ার ওই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন। খবর স্টার অনলাইনের। গত বছর মালয়েশিয়ায় চীন শাসিত দ্বীপ হংকংয়ের ১৯৩ জনের আবেদন অনুমোদিত হয়। এ বছর ২৫১ জন এ প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১১ সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভ হংকংবাসীর কাছে আরও মালয়েশিয়ার এমএমটুএইচ প্রকল্প জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভে লাভবান হতে পারে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। কারণ হংকংয়ে চীন বিরোধী বিক্ষোভে অনেকেই দেশ ছাড়ছে। এসব লোকদের প্রধান গন্তব্য এখন মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। ভৌগোলিকভাবে নৈকট্য হংকংবাসীর মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে পাড়ি জমানোর আরেকটি কারণ। দেশ দুটির রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো এখন এই সুবিধা নিজেদের ঘরে তুলতে পারে। মালয়েশিয়ার পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘এমএমটুএইচ’ প্রকল্পের পরিচালক শরিফাহ ইখলাস আলজাফরি বলেন, মালয়েশিয়ার বন্ধুত্বপুর্ণ পরিবেশ, স্বল্প ব্যয়, অর্থনৈতিক ও স্থিতীশিলতার পাশাপাশি উন্নত অবকাঠামো হংকংবাসীদের কাছে আকর্ষণীয় ও বসবাসের জন্য নয়া গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় সাড়ে তিন হাজার আবেদন জমা পড়ে। ২০১৮ সালে এ প্রকল্পে ৬ হাজার দুই শ’ ৭৯টি আবেদন জমা পড়ে। তবে সে বছর কোন আবেদনই অনুমোদন করেনি মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ। গত বছর হংকং থেকে ঠিক কত আবেদন এসেছিল-এ বিষয়টি খোলাসা করেননি জাফরি। হংকং বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতি ও ব্যয়বহুল নগরী। হংকংয়ের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ মালয়েশিয়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক কাজের সঙ্গে জড়িত। মালয়েশিয়াতে ১০ লাখ রিঙ্গিতের সমপরিমাণ অর্থের সম্পদ কিনে এই ‘এমএমটুএইচ’ প্রকল্পের মাল্টিপল ভিসা পাওয়া যায়। ব্রিটেনের সাবেক কলোনি হংকংকে ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর এক দেশ দুই নীতি প্রথা গ্রহণ করে চীন। কিন্তু গণতন্ত্র ও চীনা শাসনের বিরুদ্ধে হংকংবাসী প্রায়ই রাস্তায় নামে। এবারের চীন বিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি মদদ রয়েছে বলে বেজিং মনে করে। সম্প্রতি হংকং সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ বাড়ায় চীন। যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে।
×