ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ্যান্টিগায় ইশান্ত ও জাদেজার দিন

প্রকাশিত: ১২:৪১, ২৫ আগস্ট ২০১৯

এ্যান্টিগায় ইশান্ত ও জাদেজার দিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়া ভারত যে শেষ পর্যন্ত ২৯৭ রান তুলে অলআউট হয়েছে তাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান অবশ্যই অজিঙ্কা রাহানের। টপঅর্ডারে বড় ধাক্কা সামলে খেলেন ৮১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। তবে রবীন্দ্র জাদেজার কথাও আলাদা করে বলতে হবে। এ্যান্টিগা টেস্টে সুযোগ পেয়েছেন প্রধান স্পিনার হিসেবে। অথচ ব্যাট হাতে আট নম্বরে নেমে করেছেন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান। সঙ্গে ওপেনার লোকেশ রাহুলের ৪৪। তাতেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়ে যায় সফরকারীরা। আর বল হাতে কাজের কাজটা করে দিয়েছেন ইশান্ত শর্মা। দ্বিতীয়দিন শেষে স্কোর বোর্ডে ১৮৯ রান তুলতে ৮ উইকেট নেই স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ক্যারিয়ারে নবমবারের মতো ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন দীর্ঘদেহী এই পোসার। বোলিং ফিগার ১৩-২-৪২-৫। ফলে নড়বড়ে শুরুর পরও দুই ম্যাচ সিরিজে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিডের পথে বিরাট কোহলির দল। প্রথমে ব্যাট হাতে সংগ্রামী ১৯ রান, অষ্টম উইকেটে জাদেজার সঙ্গে ৬০ রানের মহামূল্যবান জুটি। পরে বল হাতে ৫ উইকেট, যার দুটি আবার নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে। এ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয়দিনে ইশান্ত যেন পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার। শনিবার দ্বিতীয়দিনের শেষ স্পেলে মাত্র ৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। সব মিলিয়ে একদিনে শিকার সংখ্যা ৫। তাতে এ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড নেয়ার খুব কাছে পৌঁছে যায় ভারত। স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সফরকারীরা দিন শুরু করেছিল ৬ উইকেটে ২০৩ রান নিয়ে। ২০ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা ঋষভ পন্থ ব্যক্তিগত খাতায় আর ৪ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি। আউট হয়েছেন ২৪ রান করে। বারবার আত্মঘাতী শট খেলে সাজঘরে ফেরা তরুণ উইকেটরক্ষক অনেক বেশি সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। বিশেষ করে টেস্টে যেখানে ঋদ্ধিমান সাহার মতো প্রতিভাবান পারফর্মার রয়েছেন। উইকেটের সামনে-পেছনে দুই দিকেই সমান পারদর্শী তিনি। এরপরই জাদেজা ও ইশান্তের ৬০ রানের সেই গুরুত্বপূর্ণ জুটি। তাতে ভারতের সংগ্রহ পেরিয়ে যায় আড়াই শ’র কোটা। ৬২ বলে একটি চারে ১৯ রান করে ইশান্ত শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে প্লেড-অন হলে ভাঙ্গে এ জুটি। এরপর দলকে তিন শ’র কাছে টেনে নিয়েছেন জাদেজা একাই। রোস্টন চেজকে পরপর চার-ছক্কা হাঁকানোর পথে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১১২ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ রান করেন তিনি। কেমার রোচ ৪৪ রানে ৪টি ও গ্যাব্রিয়েল ৭১ রানে নেন ৩টি উইকেট। জবাবে ব্যাটিংয়ে আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল। ইশান্ত ও জাসপ্রিত বুমরাহকে পাত্তা দিচ্ছিলেন না এই দু’জন। বিরাট কোহলি আক্রমণে আনেন মোহাম্মদ শামিকে, তিনিই ক্যাম্পবেলকে (২৩) ফিরিয়ে ভাঙ্গেন ৩৬ রানের জুটি। এরপর আরেক ওপেনার ক্রেইগ ব্রেথওয়েটও (১৪) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অভিষেকে ৩৬ বলে ১১ করে ফেরেন শামার ব্রুকস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ তখন ৩ উইকেটে ৫০। মিডল অর্ডারে স্বাগতিকদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন ড্যারেন ব্রাভো (১৮) ও রোস্টন চেজ (৪৮)। এরপরও শাই হোপ ও শিমরন হেটমায়ারের ব্যাটে উইন্ডিজ এগোচ্ছিল ভালভাবে। তবে শেষ বিকেলে ইশান্তের দারুণ বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তারা। ইশান্ত প্রথমে হোপকে ফিরিয়ে ভাঙ্গেন ৪৪ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। নিজের পরের ওভারে এসে তিনি চার বলের মধ্যে তুলে নেন হেটমায়ার (৩৫) ও রোচের (০) উইকেট। তাতে ৫ উইকেটে ১৭৪ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ হয়ে যায় ৮ উইকেটে ১৭৯।
×